সৈয়দ মনির আহমদ >>
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল অাবছার হত্যা মামলার প্রধান ৩ অাসামীর জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন ফেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পুর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২৩ডিসেম্বর রোববার সকালে ফেনীর ম্যাজিস্ট্রেট অাদালতে হাজির হন অাসামী নাছির উদ্দিন (৭৬), মোশারফ হোসেন(৭৩) ও আবুল কাশেম (৬৬)।
এ সময় বাদী পক্ষের অাইনজীবি এডভোকেট জাহাঙ্গীর অালম নান্টু লিখিত ভাবে অবহিত করেন যে, হত্যা মামলাটি তদন্ত শেষে চার্জশিট জমা হয়েছে, আদালত গত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে তাদের চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত অন্তর্বতী জামিন দিয়েছিলেন। আদালত ওই আবেদনের উপর শুনানি করে তিন আসামির জামিন বাতিল করেন। মামলার অপর অাসামি রাজাকার শাহজাহান আকবর পলাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।।
এর আগে , হত্যাকান্ডের ৪৬ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহীদ নুরুল অাফছার হত্যা মামলা ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অাদালত(সোনাগাজী) সিরাজ উদ্দিন ইকবালের অাদালতে ১৩এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মামলাটি রুজু করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল অাফছারের ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়া বাবুল। উক্ত মামলায় সোনাগাজী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ নাছির উদ্দিন, সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা অাবুল কাশেম কাজি ও রাজাকার শাহজাহান অাকবর এর উল্লেখ করে অজ্ঞাত অারো ৭ জনকে অাসামী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল অাফছার সোনাগাজী অঞ্চলে ভারত থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত প্রথম এফএফ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। উপজেলার বাদামতলি গ্রামে রশিদ মেম্বার বাড়ীতে ক্যাম্প করে উপজেলার সর্বত্র গেরিলা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তিনি সদর ইউনিয়নের ফরাজী বাড়ীর মৌলভী অাহম্মদ করিমের বড় ছেলে। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় উৎসবের পুর্ব মুহুর্তে ১১ ডিসেম্বর সোনাগাজী থানার ভেতরে রাজাকার শাহজাহানকে রক্ষা করতে, শাহজাহানের ভাই বিএলএফ কমান্ডার নাছির উদ্দিনের নির্দেশে শহীদ নুরুল আবছারকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় ।