সমগ্র বাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পদের উন্নয়নে শেখ হাসিনা নানা পদক্ষেপ

নজরুল ইসলাম তোফা:

সঞ্চয় কিংবা যে কোনো বিষয়ে উৎপাদন হলো, সকল জনতার উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। ব্যক্তি সঞ্চয় বা উৎপাদন থেকে রাষ্ট্রীয় সঞ্চয় এবং উৎপাদনের উৎসেই নিজস্ব দেশ আলোকিত হয়। এ দেশের আর্থ-সমাজিক কিংবা এ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে, বিদ্যুতের উৎপাদন অথবা সীমিত ব্যবহারের বিকল্প উদাহরণ কিছুতে নেই, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা ও বিন্দুবিন্দু জল থেকেই তো সৃষ্টি হয়েছিল মহাদেশ ও মহাসমুদ্র। তাই এ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে টিকে থাকতে হলে উৎপাদনী মনোভাব নিয়েই তা যথাযথ ভাবেই ব্যবহার ও সঞ্চয়ী অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

পৃথিবীর উন্নত জাতি গুলো তাদের সঞ্চয়ী মনোভাব বা উৎপাদনের দিকে যেন সঠিক দৃষ্টি দিয়ে উন্নতির স্বর্ণশিখরে উঠতে পেরেছে। জাতিগত ভাবেই সঞ্চয়ী সম্পদ কিংবা উৎপাদিত সম্পদ রাষ্ট্রীয় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সুতরাং, দেশনেত্রী শেখ হাসিনার উৎপাদিত ‘বিদ্যুৎ’ উন্নয়নকেই সঞ্চয়ী মনোভাবের আলোকে ব্যবহার করা প্রয়োজন। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে বিদ্যুৎকে নিয়ে শেখ হাসিনা’র ভাবনা ও পরিকল্পনা, সকল জনসাধারণের সুবিধা বিবেচনায় বিভিন্ন প্রকারের “দোকান”, “শপিং মল” রাত- ৮ টার মধ্যেই বন্ধ করার একটি সুুুুন্দর নিয়োম চালু করতে চাচ্ছে। এতেই যেন- বাহুল্য “বিদ্যুৎ” অপচয়ের মাত্রা অনেকাংশেই যেন কমে যাবে। এমন ধরনের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা উন্নয়নের স্বার্থে ব্যক্ত হয়েছে।

মানুষের জীবন ৩টি কালের স্রোতেই পরিচালিত হয় এমন এই জীবন- ‘অতীত’, ‘বর্তমান’ আর ‘ভবিষ্যৎ’। ‘চরৈবেতি’- চল, চল, এগিয়ে চল—উপনিষদের সেই মন্ত্রেই যেন সব ‘মানুষ’ এগিয়ে চলছে, সভ্যতা সমৃদ্ধ হচ্ছে। বর্তমানের প্রতিটি মুহূর্ত অতীত হয়েই আজও বয়ে চলছে ভবিষ্যতের দিকে। সুতরাং, এ অতীতকে অজ্ঞতাবশত মুছে ফেলতেই চাই ভবিষ্যতের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি কিংবা স্বপ্ন দেখিয়ে। কিন্তু অতীত তো মৃত নয়, অতীতকে অস্বীকার করা মানে, ঐতিহ্যকে যেন অস্বীকার করা, “ইতিহাস বা রাজনৈতিক” উন্নয়নের কথাকে ভুলে থাকা। তাই জানা দরকার, পরিকল্পনা বা নির্দেশনা কিংবা উন্নয়ন দিয়েই এই বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে কে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তিনিই হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর আন্তরিকতা এবং নিদর্শনও রেখেছে অতীতে। ”প্রশাসনিক দক্ষতা” বা “দূরদৃষ্টি” দিয়ে অনেক প্রমাণও করেছে। তাই, জাতি হিসেবে বা রাষ্ট্র হিসেবে এইদেশ যদি সত্যিই অগ্রসর জাতিরাষ্ট্র গুলোর অন্তর্ভুক্ত করতে জণগন চায়, তা হলেই বাস্তবতা হচ্ছে, নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা’কে ছাড়া আর কাউকে বেছে নেয়ার মতো বিকল্প নেই। এই কথাটা যথাযথ ঠিক এবং বিভিন্ন সূচকও বলে, তাহচ্ছে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশেই যেন পরিনত হয়েছে। সুতরাং, এই ব্যাপারে দ্বিধা দ্বন্দ্বের কোনো অবকাশ নেই। বিশ্বের সমস্ত রাষ্ট্র এবং সমস্ত দেশের নেতা/নেত্রীরা বাংলাদেশের দিকেই তাকিয়ে বলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে তাঁর ‘প্রশাসন’, ‘সমাজ’ ও সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ব্যাপক কাজ করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বা মানব সম্পদ উন্নয়নে যেন জ্বালানি সাশ্রয়ীর ভূমিকা এবং তার যথাযথ ব্যবহারের বিষয়টিকে গুরুত্বের সহিত আওয়ামীলীগ সরকারই দেখছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যেই যেন খুব প্রয়োজন জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার। বলা যায় যে দিনেদিনেই বাড়ছে- এই জ্বালানির চাহিদা, বাড়ছে-এর ব্যবহার। তাই তো শুধু মাত্রই জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে নয়, জ্বালানি যোগান থেকে শুরু করেই যথাযথ ব্যবহার পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে নিশ্চিতের লক্ষ্যেই আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার জ্বালানিকে টেকসই কিংবা সাশ্রয়ী ব্যবহারেও বহু কাজ করবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদকে সম্পুর্নভাবে গনমূখি করবার লক্ষ্যে আগামীতে আরও সুন্দর পদক্ষেপ নিয়েছেন।

মাননীয় দেশনেত্রী ‘শেখ হাসিনা’- “দশ বছর” দায়িত্ব পালনে যেন অনেক সফলতা পেয়েছে। তিনি কথায় না, কাজেও বিশ্বাসী। অতীত শিক্ষা নিয়ে আগামীতে এইখাতে আরও পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর কাজ করে সমগ্র জনগণের জীবন মানকে অনেকাংশেই যেন উন্নতির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তিনি তো বাবা মাকে হারিয়ে রাজনীতি করছেন, শুধু মাত্রই বাংলাদেশের জনগণের জন্যে। এদেশের মানুষ যাতে ভালো ভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন সহ যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে তিনি সদা সর্দার প্রস্তুত।

জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের সময়ে যেন ‘বিদ্যুৎ’ বাংলাদেশের মানুষের একেবারেই চরম

দুঃখ দূর্দশায় নিমজ্জিত ছিল। ১৯৯১-৯৬ সাল জুুড়ে ‘বিএনপি’ সরকারের কাঁধে- ‘জামায়াত’ সওয়ার হয়ে থাকাতে যেন দেশে ‘গণতান্ত্রিকচর্চা’ ব্যাহত হয়েছিল, তেমনি সেই সময়ে যেন, দেশমাতৃৃকার ‘উন্নয়ন-ধারা’ দুর্নীতির রাহুগ্রাসে পতিত হয়েছিল। ফলে দেশনেত্রী শেখ হাসিনাই যেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদ কালে এক অব্যবস্হিত “দুর্নীতি গ্রস্হ” ভয়াবহ জন-প্রশাসন’কে নিয়েই অগ্রসর হতে হয়েছিল। কিন্তু তিনি দেশপ্রেমে, পিতার উদাহরণ’কেই মনে-প্রাণে অনুসরণ করছেন, বাধা বিঘ্ন’কে তোয়াক্কা না করেই অসামান্য মানসিক দৃঢ়তা নিয়ে দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করেছে।এ দেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার বলে মন্তব্যে বলেন, দেশের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পেয়ে গেছে। আর ১০ ভাগ মানুষ এখনো সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সে দিকটার লক্ষ্যে তিনি যেন আগামীতে কাজ করে যাবেন।

আওয়ামীলীগের সরকার ক্ষমতায় এলে যেন ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায়- ৩০ মিলিয়ন প্রচলিত ‘অকার্যকর চুলা’ গুলোকেই আধুনিক পরিবেশ বান্ধব চুলা দ্বারা প্রতিস্থাপন করবে। শুধু মাত্র গ্যাস চালিত যে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আছে সেই গুলোকে ধীরে ধীরে কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উন্নীত করার যেন পরিকল্পনা নিয়েছে। ‘বিল্ডিং কোড’ সংশোধন বা সংস্কার করেই সেখানে জ্বালানি দক্ষতা ও সৌরশক্তির বিষয়গুলো সন্নিবেশ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই- “সরকারি”, “আধা সরকারি” অথবা “স্বায়ত্তশাসিত” প্রতিষ্ঠানের ছাদে যেন সৌর প্যানেল সিস্টেম ইনস্টল করার প্রোগ্রাম চালু করবে। সকল মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ খাতে সিএফএল/এলইডি বাতি ব্যবহারে উৎসাহ প্রদানের সহিত বহু ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলো এলইডি বা সৌর বাতি দ্বারাই প্রতিস্থাপন করবে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে “এনার্জি স্টার রেটিং” যুক্তকরণের বিভিন্ন প্রক্রিয়া চালু করবে যদি তিনিই আগামীতে ক্ষমতায় আসেন।

সবাই ইশতেহারেই ভালো কথা আছে, কিন্তু তাকেই- কারা বাস্তবায়ন করাতে পারবে। সেটি, কর্ম দক্ষতার আলোকেই শেখ হাসিনা’কে জানা প্রয়োজন। ১৯৯৭ সালে- প্রলয়ংকরী ‘ঘূর্ণিঝড়’ ও ‘জলোচ্ছ্বাস’। ১৯৯৮ সালের দীর্ঘস্থায়ী বন্যা আবার ২০০০ সালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আকস্মিক বন্যার পাশা পাশি প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে অর্থনৈতিক মন্দার অভিঘাত সত্ত্বেও ‘আওয়ামী লীগ’ সরকারের ১৯৯৬-২০০০ শাসনামলেরই যেন প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬.৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। অথচ এই বিএনপি দলের মেয়াদকালে যেন প্রবৃদ্ধির হার মাত্র- ৪.৫ শতাংশেই ছিল। সেখান থেকেই মানুষের গড় আয়ু বেড়ে– ৬২ বছরে উন্নীত হয়েছে। আর “বিদ্যুৎ” উৎপাদন ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ‘৪০০০ মেগাওয়াটে’ পৌঁছে। তাই, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের সময়েই যেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন স্হানে জনগণের ওপর হত্যা-নির্যাতনও চলেছে। তাই বর্তমানে এমন এ দেশ তুলনা মূলক ভাবেই ‘বিদ্যুৎ’ উৎপাদনে প্রায় স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে। ২০০৯ সালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার দুশো মেগাওয়াট। বর্তমানে ‘বিদ্যুৎ’ উৎপাদন প্রায় ১৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। সুতরাং এ দেশের ৮৩ শতাংশ মানুষকে যেন, বিদ্যুৎ-সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছে। বলা যায় যে, ১৫০ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। পাবনার রূপপুরে ২০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ইশতেহারে

বিশেষ অঙ্গীকারে বলেছেন, প্রতিটি গ্রামকেই শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি গ্রহণ এবং তাকে বাস্তবায়নও করবেন। তাই শহরের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রামেও পৌঁছে যাবে। নির্বাচনে ”নৌকার জয়” নিশ্চিত হলেই আগামী ৫ বছরে পাকা সড়কের মাধ্যমে যেন সকল গ্রামকে জেলা/উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিবেন। ১ বছরের শেষে অর্থাৎ ২০২০ সালের মধ্যে যেন সকলের জন্য ”বিদ্যুৎ ব্যবহার” নিশ্চিত করতে চান। ২০২৩ সালের মধ্যেই যেন ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ও ৫,০০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করবেন। তাই একাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারেই বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রতি যেন গভীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

জ্বালানি দক্ষতাকে নিশ্চিত করতে পারলে ‘জ্বালানি’ নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গেই বৃদ্ধি পাবে-‘পরিবেশ’ বিষয়ে গণমানুষের সচেতনতা। অন্যদিকেই জ্বালানির পুনঃ ব্যবহার বা নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়টি নিশ্চিত করবে ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা। আওয়ামী লীগ

সরকারের প্রধান মাননীয় ‘শেখ হাসিনা’ এই জন্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতিও যেন- ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দিয়েছে। জানা যায় তা হলো:- ২০০৮ সালের আগে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি সম্পর্কিত প্রাতিষ্ঠানিক কোন কাঠামো না থাকলেও এই সরকার পরবর্তীতে একটি প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো হিসেবেই- স্থায়ী কিংবা নবায়নযোগ্য এক জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করে। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি জ্বালানি দক্ষতা বা জ্বালানি সংরক্ষণ সহ টেকসই জ্বালানির প্রচার ও উন্নয়নের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও যাবে। তাছাড়াও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প যেমন, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রাহক পর্যায়ে যেন ১০% জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তা বর্তমানে সরকারি নির্দেশনাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জ্বালানি সাশ্রয়ে আরও যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হলো, কয়লাভিত্তিক বা পারমাণবিক বিদ্যুৎভিক্তিক কেন্দ্র স্থাপন, ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় এবং নেপাল-ভুটানের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে অনেক আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন এবং আগামীতেও দেশে ‘বিদ্যুৎ’ চাহিদা মেটাতেই যেন আওয়ামী লীগ সরকার সকল পদক্ষেপ নিবেন। এক টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে’ তোলার পর এখন তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে সম্পৃক্ত করে সেই পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি এনে বলেছে– স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের একাডেমিক পাঠ্যক্রমের মধ্যে জ্বালানি দক্ষতা বা নবায়ন যোগ্য জ্বালানির বিষয় সমূহ অন্তর্ভুক্ত করেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে উদ্যোগ গ্রহণ হয়েছে এবং আগামীতেও হবে। এই সব পদক্ষেপের সফল বাস্তবায়ন ও উন্ননয়ন নিশ্চিত করতে পারলেই যেন বিদ্যুুৎ কিংবা জ্বালানির টেকসই ও সাশ্রয়ী ব্যবহার হবে। ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করবেন। সেজন্য এসরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রাকেই হাতে নিয়েছে।

বর্তমানে সরকারি খাতে চার হাজার ৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার চোদ্দটি এবং বেসরকারি খাতে দুই হাজার ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মোট ৬ হাজার ৯৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র গুলো ২০১৯ সালের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে চালু হবে। “মাতারবাড়ীর” বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে, বাংলাদেশের অন্যতম ‘বড় বিদ্যুৎ’ প্রকল্প। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আওতাতে যে বন্দর নির্মাণ করা হবে, পরে তাকে আবার গভীর সমুদ্রবন্দরে রূপান্তরিত করা হবে। এমন কথা গুলো প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা’ সরকারের ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১-এর কথা পুনরুল্লেখ করে জানিয়েছে, দেশের প্রত্যেক মানুষের “ঘরে-ঘরে” আওয়ামী লীগ সরকার আলো জ্বালব, সেটাই শেখ হাসিনার লক্ষ্য। তিনিই জাতির জন্য গর্ব, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষণা সংস্থা দ্য স্ট্যাটিসটিক্সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের ২য় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছে। তাই তাঁর হাতে এমন বাংলাদেশ মানানসই বা জাতি অবশ্যই যেন উন্নয়নের সমাধান পারে। তিনি বলেছেন, যেখানে বিদ্যুতের গ্রিডলাইন নেই, সেখানে তাঁর সরকার সোলার সিস্টেম বসিয়ে দিচ্ছে এবং আগামীতে আরো পরিচ্ছন্নভাবে উন্নয়ন হবে। তাঁর শাসনামলেই যেন প্রায়- ৪৬ লাখ সোলার সিস্টেম বসানো হয়েছে। সুতরাং এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধির সঙ্গেই বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখযোগ্য মনে করে, সব মানুষের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখেই সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছে।

লেখক, নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *