মুক্তমত >>>
আদর্শিক পরিচয় এবং সম্পর্ক ছাড়া চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন পরিচয় নেই।
কোনদিন দেখাও হয়নি, এমনকি কথাও হয়নি।
ছাত্রলীগ করা এই ছেলেটা বারবার পত্রিকার শিরোনাম হচ্ছে, সমালোচনার আলোচনায় রাখা হয়েছে তাকে?
যতবারই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, ততবারই দেখেছি সবগুলো মিথ্যে প্রমাণ করে আবার সগৌরবে ফিরে এসেছে বীরের মতো।
একটা ছেলের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ কেনো?
কারনটাও স্পষ্ট।
ছেলেটা শিক্ষাখাতকে জিম্মি করে রাখা কিছু ব্যবসায়ীর পথের কাঁটা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশি অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। ইমোশনাল থেকে গায়ে হাত তুলে, যদিও সেটা অন্যায়।
কিন্তু মারামারির জন্য মামলা না হয়ে ছেলেটার বিরুদ্ধে মামলা হয় চাঁদাবাজির!
ছেলেটা অনৈতিক পথে পা না বাড়িয়ে, নিজের অবস্থান থেকে বন্ধু রাশেদের সাথে পার্টনার হয়ে কোচিং সেন্টার করেছে। পাওনা টাকা চেয়ে বারবার প্রতারিত হচ্ছে? তারপর এমনটা হয়েছে।
অনেকের মতোই আমিও এটাকে সমর্থন করিনা। বলবেন আইনের আশ্রয় নিতে পারতো ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বয়সে তরুণ ছেলেটা কত ধৈর্য ধরবে? বারবার প্রতারিত হওয়ার অপমানে রাগে এবং ক্ষোভ থেকে ওই ঘটনার সূত্রপাত।
আরেকটা জিনিস দেখুন, ঘটনা ঘটেছে ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ, আর সেই ভিডিওটা ভাইরাল করা হয়েছে এপ্রিলের ১৯ তারিখ। মামলাও সেই সময় করা হয়নি, করা হয়েছে এখন। তাও আবার চাঁদাবাজির।
কি উদ্ভূত মিল দুই ঘটনাতেই। শিক্ষকের গায়ে হাত তুলার দায়ে মামলা হয় চাঁদাবাজির, কোচিং সেন্টারের পার্টনারকে চড় থাপ্পড় মারার দায়েও মামলা হয় চাঁদাবাজির।
সবশেষে একটা কথা বলি ; অনেক সময় আমরা যা দেখি, তা ঘটেনা? আবার যা ঘটে তা দেখিনা।
রনি পাওনা টাকার জন্য, নাকি চাঁদাবাজির জন্য এমন মারমুখী হয়েছে তা জানতে চাই। কাজেই ভয়েজ সহ ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়নি।