মাইন উদ্দিন রিমন>>>
ফেনী জেলার সকল নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনতার কাছে গাজী মানিক হিসেবে এক নামে পরিচিত।আর বেগম জিয়ার কাছে কালো মানিক।
এটি শুধু একটি নাম নয়,এটির সাথে ফেনীর জাতীয়তাবাদের সকল চাওয়া পাওয়া নির্ভরশীল।
আমরাও জানি তারপরও গত পরশু এক আত্মীয় আবারো জানালেন (যিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা) সরকারি ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্টে ফেনীতে এই দলের জন্য গাজী মানিকই হচ্ছেন মূখ্য চরিত্র যার কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনায় জামিন আটকে যায়। অন্যদিকে স্থানীয় সরকারি দলের নিয়ন্ত্রকের প্রধান বিপরীত প্রতিদ্বন্দ্বী গাজী মানিক ।তিনি মুক্ত হয়ে গেলে এখানকার বি.এন.পি ঘুরে দাঁড়াবে আর সরকারি দলের রাজনীতির একক মাঠ নিয়ন্ত্রন থাকবেনা। এসবের সাথে ঘরের শত্রু হিসেবে অনেকে আছেন যারা সরকারি দলের সাথে আত্মরক্ষা মূলক নীতিতে চলছেন। অনেকে ব্যাবসা বাণিজ্য কিংবা সরকারি কাজের সুবিধাও পাচ্ছেন বলে অহরহ প্রচলিত। এদের সবাই সরকারের কব্জায় কিন্তু গাজী মানিক আপোষহীন হওয়ার কারণে উনার উপর সব খড়গ!
দীর্ঘ ১৬ মাস তিনি কারাগারে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কারাগারে থেকেও অনেকের অনেক কাজে সাহায্য করছেন। নেত্রী কারাগারে যাওয়ার পর তিনি নিজের জন্য কোনো কর্মসূচীর পরিবর্তে নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে নিয়োজিত থাকার পরামর্শ দেন। কারাগারে অসুস্থ তিনি। কার জন্য এতো নির্যাতিত হচ্ছেন?
ব্যাক্তিগত কোনো ঝামেলা?সহায় সম্পত্তির মামলা?না চুরি ডাকাতি করে জেল খাটছেন? আমরা এতোটা অকৃতজ্ঞ যে ছাত্রদলের একটি ইউনিট ছাড়া ফেনীর বি.এন.পি নেতারা একটি কর্মসূচি পর্যন্ত উনার জন্য পালন করেনি!
এদের অনেকে আবার কমিটি চায়? নমিনেশন প্রার্থী হবে? সময়মত নমিনেশন এর স্বাদ মিটিয়ে দিবে তৃনমুল এর নেতাকর্মীরা। আমার মতো হাজার হাজার কর্মী উনার পাশে সব সময় ছিলো, আছে, থাকবে ইনশাল্লাহ।
(ফাইল ছবি)
লেখক -ফেনী জেলা ছাত্রদল নেতা।