ওমর ফারুক ঈশান.ফটিকছড়ি থেকে :
ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোক্ত শিক্ষকের নাম আবুল হাসেম (৪০) বাড়ি দাঁতমারা ইউনিয়নের পশ্চিম হাসনাবাদ গ্রামে বলে জানা যায় । সে ভুজপুর থানাদিন,রাজাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ছিলেন ।
তার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ভুজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ।
স্ত্রীর যাতায়াতের সুবিধার্থে স্কুলের পাশের এলাকায় তারা ভাড়া বাসায় থাকেন ।একি এলাকার পাশে বাসায় থাকা ভুজপুর স্কুলে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর পড়ুয়া দুই ছাত্রি আবুল হাসেমের বাসায় তার স্ত্রীর কাছে প্রাইভেট পড়তো । স্ত্রীর ব্যস্ততায় আবুল হাসেমও মাঝে মাঝে তাদের পড়াতো ।
প্রতিদিনের ন্যায় গত ১ জুলাই সন্ধ্যায় ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীটি পড়তে গেলে স্ত্রীর অনুপস্থিতে আবু হাশেম ওই ছাত্রীটিকে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ঐ ছাত্রীটির পরিবারের ।
প্রথমে বিষয়টি গোপন থাকলেও মেয়েটির কান্নাকাটি দেখে তার মা জিজ্ঞাসা করলে, মেয়েটি তার মায়ের কাছে ঘটনার লোমহর্ষোক বর্ণনা দেন ।
মেয়েটির আত্মীয়স্বজন বিষয়টি শুনলে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। ঘটনাটি জানার পর মেয়েটির চাচা চট্টগ্রাম থেকে ছুটে এসে নিজে বাদি হয়ে গত (৪জুলাই) ভুজপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায় মামলা রুজু করার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী শিক্ষক আবুল হাসেম পলাতক রয়েছে।এলাকায় ক্ষোভ ও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ভুজপুর থানার ওসি বায়েস আলম বলেন, ধর্ষন মামলার আসামী আবুল হাশেম মামলা রুজুর পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য আপ্রাণ চেস্টা করে যাচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো বলেন, খুব শীঘ্রই তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়বেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।
এই সম্পর্কে জানতে আবুল হাসেমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।