মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: বর্তমানে
দেশের সবর্ত্রই বইছে উন্নয়নের জোয়ার, কিন্তুু এখনো দেশের অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া!
মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে চলাচলের প্রধান সড়ক, প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা, স্কুল শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তি ও জীবনের ঝুকি নিয়েই বিদ্যালয়ে আসতে দেখা যায়, কৃষকরা ফসল নিয়ে পড়েছেন বিপাকে, যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় মাঠেই নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার ফসল!
এমনই একটি গ্রাম হলো নোয়াখালী জেলা সুবর্ণচর উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের চর পানাউল্যাহ গ্রাম। স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাতায়াতের জন্য ১ফিট রাস্তা অবশিষ্ঠ নেই ভারী যান চলাচলতো দূরের কথা একটি সাইকেই চলার যায়গা নেই সড়কটিতে।
নোয়াখালী সদর সোনাপুর হয়ে স্টিমারঘাট মুখি প্রধান সড়কের আব্দুল্যাহ মিয়ার হাট হয়ে এই সড়কটি রামগতি প্রধান সড়ক রব রোড়ের সাথে মিলিত হয়।
আব্দুল্যাহ মিয়ার হাট থেকে কাঞ্জন বাজার ২ কিলোমিটার রাস্তা ফাকা হলেও কাঞ্চন বাজার হয়ে ঈমান আলী বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত। চর পানাউল্যাহ গ্রামের বাসিন্দা মনির জানান ১৯৮৫ সালে জনবহুল এই গ্রামের মানুষের কথা ভেবে স্থানীয় কিছু সমাজ সেবক এই রাস্তাটি নিজেদের উদ্দ্যগে তৈরি করেন।
সেই থেকে দির্ঘ ২৫ বছর কোন প্রকার উন্নয়ন হয়নি ২০১০- ১১ অর্থ বছরে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ঈমান আলী বাজার থেকে একই সড়কে অবস্থিত নুর ইসলাম মেম্বারের দোকান পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা ফাকা করে দেন কিন্তুু সড়কটির পাশে রামগতি নদী মুখি একটি খাল বয়ে যাওয়ায় মাত্র ২ বছরের সড়কটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়, যা এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
বর্তমানে চর পানাউল্যাহ গ্রামের মানুষের অনেকটাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, গ্রামটিতে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রতি রাতই কেউনা কেউ সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। উক্ত গ্রামের কৃষক মৃত আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র কামাল উদ্দিন জানান সড়কটি সম্পূর্ণ যাতায়াতের অনউপযুগি হওয়ায় তাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, শিত কালিন সবজি বিক্রি করতে পারছেন না ফলে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে তাদের স্বপ্ন। ঐ গ্রামের সাবেক মেম্বার নুর ইসলাম জানান চর জব্বর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তরিক উল্যাহ বিএসসি’ কে সড়কটি মেরামত করার কথা বার বার বলা হলওতিনি তা আমলে নিচ্ছেন না। তিনি আরো বলন, রামগতি হয়ে সুবর্ণচর উপজেলার যোগাযোগ এই “ঈমান আলী সড়কটি” দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত কিন্তুু সড়কটি এখন ভূতুড়ে সকড় নামে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করছে।
এই সড়কের মধ্যেই রয়েছে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার মধ্যে দক্ষিণ চর পানা উল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী, জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা ওএতিম খানায় রয়েছে ৩শত অধিক শিক্ষার্থী যারা সব সময় ঈমান আলী সড়ক নামে পরিচিত এই সড়কটি দিয়ে চলচল করতে হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, সড়কটিতে প্রতিদিন দূর্ঘটনা ঘটে তাই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক গন তাদের সন্তানকে বিদ্যালয় কিংবা মাদ্রাসা পাঠাতে চান না ফলে শিক্ষার্থীদের উস্থিতি কম এবং শিক্ষার আলো থেকে বঞ্জিত হচ্ছে শত শত কোমলমতি শিশুরা, তিনি আরো বলেন গত এক বছরে এই সড়কে ২শত শিক্ষার্থী দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
গত তিন মাস আগে রামগতি হয়ে একই সড়ক দিয়ে আসা একটি পন্যবাহী ট্রাক খালে পড়ে ড্রাইবার হেলপার সহ মোট ৬জন আহত হয় পরে তাদেরকে মাইজদী সদর হাসপাতালে প্রেরন করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারমান তরিক উল্যাহ সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ব্যাবহারিত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়, স্থানীয় মেম্বার আয়ুব আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দির্ঘদিন চেষ্টা তদবির করেও কোন সুফল না হওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্য ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তারা অতিদ্রুত সড়কটি মেরামত, ভাঙ্গা পুল, কালভার্ট নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালীর কৃতিসন্তান সড়ক, পরিবহন ও বাংলাদেশ আওয়ামিলিগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।