মিজোরামের এমএলএ প্রতিনিধিদল’র সাথে চট্টগ্রাম চেম্বারের মতবিনিময়- বাংলারদর্পন

 

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

ভারতের মিজোরাম থেকে আগত এমএলএ প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স’র এক মতবিনিময় সভা ২৪ নভেম্বর রাতে নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধিবৃন্দ হলেন মিজোরাম বিধানসভার পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটির চেয়ারম্যান এল. সাইলো এমএলএ, লোকসভার সাবেক এমপি ভানলাল জাওমা এমএলএ, সাবেক মন্ত্রী এল. রালতে এমএলএ , ডেপুটি চীফ হুইপ আর.এল. পিয়ানমাভিয়া এমএলএ, লালরুয়াতকিমা এমএলএ  এবং  বিধানসভার উপ-সচিব এল. জোতি । চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে এ সময় চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ ব্যানার্জী সহ চেম্বার পরিচালকবৃন্দ কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), মোঃ জহুরুল আলম, মাহবুবুল হক চৌধুরী (বাবর), ছৈয়দ ছগীর আহমদ, মোঃ রকিবুর রহমান (টুটুল), অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ আবদুল মান্নান সোহেল ও সদ্যবিদায়ী পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ উপস্থিত ছিলেন।

 

মাহবুবুল আলম বলেন-বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আধুনিক অবকাঠামো ও বাণিজ্য সুবিধার অভাবে তা কাংখিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে না। তাছাড়া কানেক্টিভিটিসহ অবকাঠামো উন্নয়নে উভয় পক্ষ থেকে সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। চেম্বার সভাপতি প্রতিনিধিবৃন্দকে বাংলাদেশ সফর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্ভাবনা ও সমস্যাসমূহ সম্পর্কে লব্ধ ধারণা নিয়ে তাদের রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দু’দেশের ব্যবসায়িক ও সামগ্রিক সম্পর্কোন্নয়নে অবদান রাখার আহবান জানান।

 

মিজোরাম বিধানসভার পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটির চেয়ারম্যান এল. সাইলো এমএলএ বলেন-চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মিজোরাম সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১৮৫ কি.মি. অথচ কেবলমাত্র অবকাঠামোগত সুবিধার অভাবে দুই অঞ্চলের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সংঘটিত হচ্ছে না। তিনি কর্ণফুলীর মাধ্যমে শত শত বছরের বাণিজ্যিক ঐতিহ্য তুলে ধরে এই যোগাযোগ পুনবর্হালের মাধ্যমে সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা বিশেষ করে মিজোরাম থেকে আদা, মরিচ, বাঁশ ইত্যাদি পণ্য অত্যন্ত সুলভ মূল্যে আমদানির অনুরোধ জানান। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিটাগাং চেম্বারের প্রতিনিধিদলকে মিজোরাম সফরের আমন্ত্রণ জানান এমএলএ ও রাজ্যের সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী।

 

নবনিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ ব্যানার্জী দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়ন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে মন্তব্য করে ভিসা ব্যবস্থার সহজীকরণের মাধ্যমে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম থেকেই গত বছর প্রায় দেড় লক্ষ ভিসা প্রদান করা হয় বলে জানান। উভয় দেশের মাঝে বিশেষ করে বাণিজ্যিকভাবে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাথে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে যা বিদ্যমান যোগাযোগ ব্যবস্থার যথার্থ উন্নয়ন হলে কাজে লাগানো সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *