খাগড়াছড়িতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন নীপিড়নের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদাতা:
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গার পলাশপুর মিফতাহুল জান্নাহ মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানায় মো: আব্দুল খালেক নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার একাধিক ছাত্রীকে যৌন নীপপিড়ন করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের মদ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, লম্পট মো: আব্দুল খালেক মাটিরাঙ্গার তাইন্দংয়ের আছালং গ্রামের বাসিন্দা ও পলাশপুর মিফতাহুল জান্নাহ মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক মো: আব্দুল হাই এর শ্যালক।

যৌন নীপিড়নের শিকার একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে লম্পট শিক্ষক মো: আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার ছাত্রীদের ক্লাশরুমেই জড়িয়ে ধরে আদর করতেন। গালে ও কপালে চুমো দিতেন। ছাত্রীরা নীপিড়ন করার বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানালে যৌন নীপিড়নের শিকার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষ থেকে পলাশপুর বিজিবির কাছে অভিযোগ করা হয় বলে জানা গেছে।

যৌন নীপিড়নের শিকার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শিক্ষক মো: আব্দুল খালেককে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে করে জানা গেছে।

মাটিরাঙা পৌরসভার কাউন্সিলর মোস্তফা ( ভাতঘর মোস্তফা) বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে পলাশপুর এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রীদের যৌন নীপিড়নের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসার পরিচালক আবদুল হাই মাটিরাঙা পৌরসভার কাউন্সিলর মোস্তফাকে ( ভাতঘর মোস্তফা) দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা চালায়। কাউন্সিলর মোস্তফা ( ভাতঘর মোস্তফা)  এ বিষয়ে কোন কথা বললে অসুবিধা হবে বলেও অভিযোগকারী অভিভাবককে ডেকে শাসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙা পৌরসভার কাউন্সিলর মোস্তফাকে ( ভাতঘর মোস্তফা) বলেন, ছাত্রীকে আদর করলে যৌন নীপিড়ন হবে কেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *