ফেনীর চিন্তারপুল – কুঠিরহাট সড়কের বেহাল দশা 

 

 

ফেনী প্রতিনিধি||ফেনীর চিন্তারপুল – কুঠিরহাট সড়কের ৪ কিলোমিটার সড়কে কাঁদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করছে দক্ষিনাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের চিন্তারপুল থেকে কুঠিরহাট বাজার পর্যন্ত সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে পানি জমায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীরা।

সরেজমিনে জানা গেছে, ফেনী-কুঠিরহাট সড়কটি কয়েকবছর ধরেই বেহাল। সবধরনের গাড়ি চলাচল করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে তাকিয়া বাজার, বগাদানা, কাটাখিলা, মান্দারি, বাদুরিয়া, দুর্গাপুর, বড় হালিয়া, আড়কাইম, ইছাপুর, পাইকপাড়া, বদরপুর, বাংলাবাজার, গুনক, বিষ্ণুপুর সহ চরমজলিশপুর, বগাদানা, মঙ্গলকান্দি ও সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন শহরে যাতায়াত করতে হয়। মাঝেমধ্যে সিএনজি অটোরিক্সা চালক ও যাত্রীরা টাকা তুলে খোয়া-বালু ছিটিয়ে চলাচল উপযোগি করা হয়। বর্ষা এলেই কাদাপানি একাকার হয়ে যায়। এতে করে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের সময় কর্মস্থলমুখী লোকজন ও স্কুলÑকলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের পোষাক পানিতে ভিজে যায়। এছাড়া প্রসুতি সহ মুমুর্ষ রোগীদের ডাকবাংলা হয়ে ৬-৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে শহরে আসতে হয়।

চালকরা জানায়, এ সড়কে আগে প্রায় ৩ শতাধিক সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করলেও এখন রাস্তা খারাপ হওয়ায় গাড়ীর পরিমান অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে যাত্রী তুলনায় গাড়ীর সংখ্যাও কম হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

সিএনজি অটোরিক্সা চালক আবদুল্লাহ জানান, এ সড়কে চলাচল করলে প্রতি সপ্তাহে গাড়ী গ্যারেজে নিতে হয়। ফেনী থেকে কুঠিরহাট যেতে ৩০ মিনিটের পথ যেতে এখন সময় লাগে প্রায় ১ ঘন্টা। এসব কারনে অনেকে সড়কটির গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে।

কুঠিরহাট বনিক সমিতির সভাপতি ডা. নুর নবী জানান, ব্যবসায়ীদের মালবাহী কোন গাড়ি কুঠিরহাট বাজারে আসতে চায় না। তাই অনেক ব্যবসায়ী পিকআপ কিংবা ভ্যান গাড়ি যোগে মালামাল আনতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়।

চরমজলিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হোসেন জানান, ফেনী-কুঠিরহাট সড়কের বেহাল দশার বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন সভায় অবহিত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এলজিইডির সোনাগাজী উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজ বাংলার দর্পন কে বলেন , রাস্তাটি সংস্কার করতে প্রকল্প বরাদ্ধের জন্য স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *