ফেনী  ইবনে হাসমান হাসপাতালে প্রসূূতির বাচ্চা চুরি

ফেনী প্রতিনিধি : আকলিমা আক্তারের দু’টি যমজ বাচ্চা হবে। দুটি হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে নিশ্চিত হয়ে গত ৫ই জুলাই বুধবার রাতে ফেনী ইবনে হাসমান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগ্নষ্টিক সেন্টারে ভর্তি হন । তড়িগড়ি করে  রাতেই ডা.সায়েরা শরীফা শিল্পী’র তত্বাবধানে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সিজার করা হয়। অপারেশন থিয়েটারের আশ-পাশ্ব সংরক্ষিত এলাকা বলে রোগীর স্বজনদের দুরে রাখা হয়। দীর্ঘ দু’ন্টা অপেক্ষার পর অপারেশন থিয়েটার থেকে নার্স এসে আকলিমার স্বামী মোশারফ হোসেনকে জানানো হলো আপনার স্ত্রীর একটি মেয় সন্তান হয়েছে।  মোশারফ হোসেন অপর বাচ্চার কথা জানতে চাইলে  হাসপাতাল কতৃপক্ষ সাপ জানিয়ে দেন আমরা একটি বাচ্চা পেয়েছি। এক পর্যায়ে রোগীর আত্মীস্বজনেরা শোর-চিৎকার শুরু করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখতেছি বলে কালক্ষেপন করে। এমন অবস্থায় কোন উপায় না দেখে পাশ্বে গণমাধ্যম অফিস দৈনিক নয়া পয়গাম কার্যালয়ে  এসে হাউমাউ করে কান্না-কাটি করে বলে , ভাই আমরা গরিব মানুষ আমাদেরকে বাচান ,আমাদের সন্তাকে ওরা বিক্রি করে দিছে ,আমরা আমাদের সন্তানকে ফেরৎ পেতে চাই । আপনাদের একটু সহযোগীতা পেলে আমরা হয়তো আমাদের সন্তানকে ফেরৎ পাবো..। এমন তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদকের সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায় , ফাজিল পুর ইউনিয়নের পূবালীর  মোশারফ হোসেনের স্ত্রী  আকলিমা আক্তার গত ৭  এপ্রিল ২০১৭ তারিখে ফেনী রয়েল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগ্নষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে এবং রির্পোটে  টুইন বেবী , স্ট্যাটাস : এলিব, উল্লেখ আছে । এব্যাপারে রয়েল হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে তারা রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করেন। একইভাবে আকলিমা আক্তার গত ২৭ জুন ২০১৭ তারিখে ফেনী জেনারেল (প্রা:)হাসপাতাল এন্ড ডায়াগ্নষ্টিক সেন্টারে  আল্ট্রাসনোগ্রাফি  করে এবং রিপোর্টে  টুইন বেবী , উল্লেখ আছে শুধু তাই নয় ইমেজে ও টুইন বেবী স্পস্ট দেখা যাচ্ছে । ফেনী জেনারেল (প্রা:) হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে তারা রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চত করেন। কিন্ত প্রশ্ন হলো ইবনে হাসমান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগ্নষ্টিক সেন্টারের  অপারেশন থিয়েটার থেকে আর একটা বাচ্চা গেলো কোথায় ? হাসপাতালের যোগসাজস ছাড়া বাচ্চা উদাও হওয়া কি সম্ভব ? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি এর দায় এড়াতে পারে ? কিভাবে ফিরে পাবে একটি মা তার সন্তানকে ? এসব প্রশ্ন করা হয়েছিল হাসপাতালের চেয়ারম্যান মনির আহম্মদ ও ডা. সায়েরা শরীফা শিল্পীকে কিন্তু কোন সদ্দুত্তর পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে হাসপাতালের সিসি টিভির ফুটেজ দেখতে চাইলে হাসপাতালের চেয়ারম্যান অপারগতা প্রকাশ করেন এবং এই সংবাদটা যাতে পত্রিকায় না আসে সেজন্য বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *