ঝালকাঠি : কাঁঠালিয়ায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সিকদার ও তার সহযোগিরা দু:খ প্রকাশ করে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। রোববার দুপুরে ঝালকাঠি জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের উদ্যোগে এই শালিস বৈঠক বসে। সেখানে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কিবরিয়াসহ মামলার অপর ৮ আসামী উপস্থিত থেকে সাংবাদিক এইচ এম বাদলের কাছে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কাঁঠালিয়ার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ঝালকাঠি জেলা শাখা নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সাংবাদিক বাদলের ওপর হামলার দিন সাদা স্ট্যাম্পে নেয়া সাক্ষরসহ স্ট্যাম্প ও মোবাইল সেট ফিরিয়ে দেয়া হয়। কাঁঠালিয়া সাংবাদিকতায় বাদলের ভবিষ্যত নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার দায়িত্ব নেন সেই চেয়ারম্যান কিবরিয়া। এছাড়া গুরুতর আহত বাদলের চিকিৎসা খরচের জন্য এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় অভিযুক্তরা। পরে বাদলের সাথে উপজেলার চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়ার সাথে বুকে মিলিয়ে দেন ঝালকাঠি জেলা পরিষদ চেয়ারমান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় বনানীর রেইনট্রি হোটেলের মালিকের বাবা ঝালকাঠি-১ আসনের দলীয় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ফেসবুকে শেয়ার হয়। ওই সংবাদে গত ১৬ মে লাইক দেয়ার অভিযোগে তাকে তুলে নিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সিকদার ও তাঁর লোকজন। ওই রাতেই তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।
সাংবাদিক বাদলের উপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দেয় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। সংগঠনের ডাকে ঝালকাঠিসহ সারাদেশে গত ২১ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান নানা কর্মসূচি চলে। সারাদেশে বিষয়টি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।
এক বিবৃতিতে আহত সাংবাদিক বাদল বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামসহ দেশের সকল গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।