বরিশাল সিটির মহিলা কাউন্সিলর রুপার বিরুদ্ধে পাহাড়ীকে হুমকির অভিযোগ

 

বরিশাল প্রতিনিধি  : হত্যা হুমকির অভিযোগে বিসিসির সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রুপার বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করেন জিয়া সড়ক এলাকার সাপুড়ে মান্না পাহাড়ী। থানায় সাধারন ডায়েরী নং ৪৪১/১৭।থানায় সাধারন ডায়েরী করার পর থেকেই কাউন্সিলর রুপার অব্যাহত হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সাপুড়ে মান্না পাহাড়ী। কে এই কাউন্সিলর রুপা?  নগরীর আলোচিত প্রেম ব্যবসায়ী রুপসী রুপা নিজেকে বাঁচাতে এখন ধর্ণা দিচ্ছেন নগরীর প্রভাবশালীদের কাছে। যদিও অধিকাংশ প্রভাবশালীরা এ বিষয়টি নিয়ে সামনের দিকে এগুতে চাচ্ছেন না। রুপার রুপকে তারা এখন রীতিমত ভয় পাচ্ছেন। কারন যে কোন সময় তাদেরও যে ফাঁসানো হবেনা এর নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না তারা। নগরীতে এখন সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ইসরাত আমান রুপা। ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে আসল রুপ। ইতিমধ্যে তিনি যতজন পুরুষের সাথে প্রেম নিবেদন করেছেন তার হিসেব রাখতে ক্যালকুলেটরের প্রয়োজন হবে বলে মন্তব্য করেছেন এই নগরীর রসিকজনরা। তার প্রেমে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সরকারী চাকুরীজীবী থেকে শুরু করে অনেকেই পড়েছেন। কেউ কেউ নিস্ব হয়েছেন কেউবা আবার জরিমানা দিয়ে বেচেছেন রুপার রুপের আগুন থেকে। এ পর্যন্ত কয়েকবার ভ্রমন করেছেন ভারতসহ অন্যান্য দেশে। পার্সপোর্টে অবশ্য রুপা উল্লেখ নেই সেখানে আছে কেবল ইসরাত আমান (পার্সপোর্ট নং-বিএ : ০২৯১৩৯৯)। মান্না পাহাড়িকে হুমকির খবরের তোলপাড়ের পর উঠে এসেছে নতুন আরো তথ্য। রাজনৈতিক, সাংবাদিকদের সাথে প্রেমের সম্পর্কের পর বিভিন্ন জনের সাথে প্রেম করেছেন। এখনো তাদের প্রেমের সম্পর্ক পুরোপুরি ভেঙ্গে যায়নি। এছাড়া এক ছাত্রলীগ নেতা ও এক সাংবাদিকের সাথে প্রেম রয়েছে। ছাত্রলীগের নেতার সাথে প্রেম এখনো আছে কিন্তু সাংবাদিকে সাথে মাঝখানে ভেঙ্গেছিলো নতুন করে আবার জোড়া লাগতে শুরু করেছে। রুপার এমন কর্মকান্ডে এখন তার এলাকার ভোটাররাও ক্ষুধ্ব হয়েছেন। এ ধরনের একজন প্রেম ব্যবসায়ীকে কেন তারা ভোট দিয়ে কাউন্সিলর বানালেন সেই অনুশোচনা কাজ করছে তাদের মধ্যে। এদিকে রুপার সাথে মান্না পাহাড়ির জিডির পর পুরনো ঘটনা সামনে চলে এসেছে।  নিজের রুপকে ব্যবহার করে কয়েক বছরের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকার মালিব বনে গেছেন ১৬, ১৭ ও ১৮ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ইসরাত আমান রুপা। এদিকে, মান্না পাহাড়ী সাধারন ডায়েরীতে উল্লেখ করেন , রাজা নামের এক ব্যাক্তি দীর্ঘ দিন ধরে মান্না পাহাড়িকে হুমকি দিয়ে আসায় ৩০ এপ্রিল থানায় সাধারন ডায়েরী করেন তিনি । তার জের ধরে কাউন্সিলর রুপা আজ ৯মে মান্না পাহাড়িকে ফোনে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। মান্না পাহাড়ী এই প্রতিবেদককে রুপা কতৃক হুমকি প্রদানের একটি কল রেকডিং রেখে যায়। কল রেকডিংএ রুপা মান্না পাহাড়িকে বলেন, আমি তোর মত ১০টা মান্না জন্ম দিতে পাড়ি। তুই যদি বেচে থাকতে চাও তাহলে সাংবাদিক দিয়ে রাজাকে ডিস্টাপ করবিনা। তোর যত সমস্যা সব আমাকে বলবি, আমি সমাধান করে দিব। বাচতে হলে আমার কথা তোকে সুনতে হবে। তবে কাউন্সিলর রুপা হুমকি বিষয়টি অস্বিকার করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান আমি মান্না পাহাড়িকে হুমকি দেব কেন। তার কাছে রাজার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তাকে চেনেন না বলে জানিয়ে দেন। আপনার কন্ঠের সাথে কল রেকডিংএর মিল রয়েছে বললে ফোনটা কেটে দেন তিনি।এদিকে, উত্তর সাগরদীর মোঃ লুৎফর রহমান বাদী হয়ে কাউন্সিরর রুপা ও তার ভাই বাবুকে আসামী করে ১০৭ ও ১১৭ (গ) দারার অভিযোগ এনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদারতে মামলা দায়ের করেন যার নং ৫৮ / ১৭।বাদী মামলার বিবরনে উল্লেখ করেন, আসামী কাউন্সিলর রুপা ও বাবু দাঙ্গা হাঙ্গামাকারী, পরবিত্ত লোভী। নিরীহ মানুষকে ভয়ভিতি প্রদর্শন এদের পেশা। তাদের অবৈধ বেকারীতে চাকুরি না করিলে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়া হবে। রাস্তাঘাটে পেলে হাত -পা ভেঙ্গে দেয়াসহ প্রান নাশের হুমকিতে বাদী ভীত সন্ত্রস্ত।

আবার, সম্প্রতি সাপুড়ে  মান্না পাহাড়ী কাউন্সিলর রুপার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করার পর পত্রিকার শিরোনাম হয় রুপা। ২০১৬ সালে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকদের ব্লাকমেইলিং এর কারনেও একাধিকবার পত্র – পত্রিকার শিরোনাম হয় বিতর্কিত কাউন্সিলর রুপা। রুপার সাজ সজ্জা,গহনা,ঢাকার নামি দামী হোটেলে ও কক্সবাজারে যাতায়াত, বিমানে চলাচল, লঞ্চের ভিআইপি কেবিনে যাতায়াতের অর্থের উৎস নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন। স্থানীয় লোকজন তাকে খুজে পায়না। লোকজন ফোন করলেই বলে আমি সদর রোডে  যমুনা টেলিভিশন অফিসে আছি।যমুনা টেলিভিশনের কাওসারের সাথে রুপার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এখানে দিন রাত অবস্থান করেন রুপা।  এ দিকে রুপা একের পর এক বিয়ের পিড়িতে বসেছে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। তার  বরের নাম মোঃ মাসুদুল করিম, আঃরাজ্জাকের পুত্র অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর সাথে ,বাকলার মোড়ের আমেরিকা প্রবাসী লিটনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। রুপা সে তার রুপের ফাঁদে ফেলে ব্যাবসায়ী, রাজনীতিবীদ, সরকারি -বেসরকারী কর্মকর্তা,সাংবাদিক ও ঠিকাদারদের স্বর্বশান্ত করে কেটে পরে। কাবিন ব্যবসাই তার এখন মুল পেশায় পরিনত হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে হত্যার হমকিসহ মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। বর্তমানে তার সাথে এক প্রবাসী ও দু সাংবাদিকদের প্রেম চলছে চুটিয়ে। বরিশালের নিরীহ জনগনের আতংক এখন রুপা। রুপা বরিশালের বেশ কয়েকটি বাড়িতে রাত যাপন করে। ঢাকাসহ দেশ বিদেসে হানিমুনে যায় রুপা কোথায় তার বিলাসিতার অর্থের উৎস। অথচ রুপার বাবা আমান উল্লাহ একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী। একাধিক লোকজন জানিয়েছে, রুপা এখন বরিশাল টু ঢাকা -বরিশাল যাতায়াত করছেন। থাকছেন ঢাকার গুলসান -বনানীর নামী দামী হোটেলে। বিত্তশালী,ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদার তার টার্গেট। ইতিপুর্বেও রুপা অনেককে সর্বশান্ত করেছে। তার আয়ের উৎস সন্ধানের জন্য রাজস্ব বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বরিশাল ব্রাউন্ড কম্পাউন্ডবাসী।

বিলাশ বহুল জীবন ও পাহাড়ীকে হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর রুপা জানান, পাহাড়ীকে হুমকির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *