এম,তানভীর আলম :
কুমিল্লা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এর পাশে জহিরুল ইসলাম মোহন মিয়ার মালিকানাধীন আলেখারচর মাষ্টার এন্ড সন্স সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনে সিএমএস রুমের একটি বেন্ড পাইপে লিকেজ করে অবৈধ উপায়ে গ্যাস চুরি করে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে।
সোমবার ১৫/০৫/১৭ইং তারিখে বাখরাবাদ এর বিশেষ একটি টিম মোহন মিয়ার মাষ্টার এন্ড সন্স সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনে হঠাৎ অভিযান চালায়। বাখরাবাদ কর্মকর্তাগন একটি বেন্ড পাইপে লিকেজ ও ঝালাই করা দেখতে পেয়ে তাৎক্ষনিক ফিলিং ষ্টেশনের গ্যাস সাপ্লাই বন্ধ করে দেন। এর পর ফিলিং ষ্টেশন মালিকে খবর দিয়ে এর কারন জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে না পারায় পাইপটি খুলে নিয়ে যায় বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এবং সেই সাথে ফিলিং ষ্টেশনটি বন্ধ করে মালিক জহিরুল ইসলাম মোহন মিয়াকে তাদের সাথে গাড়িতে করে নিয়ে যান বলে জানায় ফিলিং ষ্টেশনের কর্মচারী ও উপস্থিত দোকানদার গন।
অভিযোগ রয়েছে এর আগেও গত বৎসর মাষ্টার সি এন জি ফিলিং ষ্টেশনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করা হয় ফিলিং ষ্টেশনটির বিরুদ্ধে, এবং ১,৬০,০০০০০ এককোটি ষাট লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। জানা যায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কুমিল্লার বেশকিছু সিএনজি ষ্টেশন বন্ধ করা হলেও এই সিএনজি ষ্টেশনটি বন্ধ হয় নি বা জরিমানা ও কার্যকর হয় নি! কারন এই ফিলিং ষ্টেশনটির মালিক কুমিল্লার এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর নিকটাত্মীয়।
এ বিষয়ে মাষ্টার সিএনজি ফিলিং ষ্টেষন এর মালিক মোহন মিয়ার কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক কে বলেন, আসলে গ্যাস চুরির মত তেমন কিছু ঘটেনি, গ্যাস পাইপ লাইনে জং ও ঝালাই দেখে বাখরাবাদ এর লোকেরা পাইপটি খুলে নিয়ে গেছে। এটি আমার বিরুদ্ধে একটি মহলের চক্রান্ত।””” তিনি ঢাকা যাচ্ছেন, বিষয়টি সুরাহা হয়ে যাবে জানিয়ে সংবাদটি প্রচার না করতেও তিনি অনুরোধ করেন সাংবাদিককে। তবে এ বিষয়ে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।