কুমিল্লা প্রতিনিধি |
কুমিল্লা তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেন ও তার গাড়িচালক মহি উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. জুলহাসকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ লন্ডন মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে।
পরে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আরাফাত উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে আদালত ও ডিবি সূত্রে জানা গেছে। গ্রেফতার জুলহাস দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ নভেম্বর সকালে জেলার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেন ও তার সহযোগীদের বহনকারী মাইক্রোবাসে সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে তাদের মারাত্মক আহত করে।
পরে আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নেয়ার পর চেয়ারম্যান মনির হোসেন ও তার গাড়িচালক মহিউদ্দিন মারা যান।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে নিহত চেয়ারম্যানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।
পরদিন মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি জুলহাস দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন।
এরই মধ্যে তিনি কয়েক দফায় স্থান পরিবর্তন করে আশ্রয় নেন সন্ত্রাস কবলিত সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম সোমবার সিদ্দিরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতারের মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম বলেন, জোড়া খুনের জড়িত অন্যান্যদের নাম ও ঘটনার কারণ বর্ণনা করে প্রধান ঘাতক জুলহাস আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুসারে জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ নিয়ে ওই জোড়া খুনের মামলায় ৪ এজাহার নামীয়সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হলেও একই মামলায় অভিযুক্ত আসামি সাঈদ ও মোহাম্মদ আলীকে গত ১ এপ্রিল দুপুরে ক্ষুব্ধ মনির চেয়ারম্যানের সমর্থকরা দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর উত্তর বাজার এলাকায় পিটিয়ে মেরে ফেলেন।
