রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৪ জঙ্গি নিহত 

 

রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় চার জঙ্গি আত্মহুতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে জঙ্গিরা বাড়ির বাইরে বের হয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহুতি দেয়। এর আগে তাদের ছোড়া গ্রেনেডে দুই পুলিশ সদস্য ও এক ফায়ার সার্ভিসকর্মী গুরুতর আহত হন।

তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফায়ার সার্ভিসকর্মী আবদুল মতিনকে (৪৫) মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় পুলিশের এএসআই উৎপল কুমার ও কন্সটেবল তাইজুল ইসলাম চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নিহত জঙ্গিদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো- বাড়ির মালিক সাজ্জাদ হোসেন (৫০), তার স্ত্রী বেলি বেগম (৪০) ও তাদের সন্তান আল-আমিন (২৫)। তবে নিহত অপর জঙ্গির পরিচয় জানা যায়নি। তার বাড়ি বগুড়া বলে ধারণা করছে পুলিশ।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাতে মাটিকাটা ইউনিয়নের হাবাসপুর-বেনীপুর এলাকায় মাঠের ভেতর ওই জঙ্গি আস্তানাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপর মাইকে জঙ্গি আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। সাড়া না মেলায় ফায়ার সার্ভিসকে ডেকে বাড়ির ভেতরে পানি স্প্রে করা হচ্ছিল।

এ সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে জঙ্গিরা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসেরকর্মীদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে। এতে দুই পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে ফায়ার সার্ভিসকর্মী আবদুল মতিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ওসি জানান, জঙ্গিরা গ্রেনেড ছোড়া শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। তবে এসময় জঙ্গিরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েই আত্মহুতি দেয়। এ ঘটনার পর বাড়ির ভেতর থেকে নিহত জঙ্গি আল-আমিনের দুই শিশু সন্তানকে উদ্ধার করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিহতদের লাশ ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল। সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

পুলিশ জানিয়েছে, সাজ্জাদ আলীর বাড়ি ছিল পদ্মার চরাঞ্চলে। কয়েক বছর আগে পাশের গ্রাম মাছমারায় শ্বশুর বাড়ির পাশে এসে বাড়ি করে। সেখান থেকে চলে এসে প্রায় দুই মাস আগে হাবাসপুরে মাঠের ভেতর টিন দিয়ে একতলা এই বাড়িটি তৈরী করেন। সাজ্জাদ ফেরি করে গ্রামে গ্রামে কাপড় বিক্রি করতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *