কাউয়া এবং ফার্মের মুরগি নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেত্রী সুমনার মন্তব্য

“কাউয়া” এবং “হাব্রিড মুরগি” – বাংলাদেশের রাজনীতি , মিডিয়া , সোশ্যাল মিডিয়াতে গত কিছুদিন ধরে এইসব বেশ আলোচিত শব্দ । কেউ এইসব নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছেন কেউবা এর মর্মার্থ খোঁজার চেষ্টা করছেন ।

 

আসেন আগে এই কাউয়া এবং হাইব্রিড মুরগি’র স্বভাব চরিত্র বিশ্লেষণ করি । কাক হচ্ছে সামনে যা পায় তাই খায় । আওয়ামীলীগ ৮ বছরের উপর ক্ষমতায় । সুতরাং এই  স্বভাবের মানুষের বিচরণ বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক ।

 

হাইব্রিড মুরগি – যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বড় হয় না । খুব অল্প সময়ে এটাকে মোটা তাজা বানানো হয় ব্যবসা করার জন্য । ৮ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার কারণে রাজনীতিতেও এইরকম লোক বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক না । অথচ রাজনীতিবীদ হতে হলে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আসতে হয় । কিন্তু ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার জন্য অনেকেই বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসে অধিকন্তু রাজনীতিকে কুলষিত করেছেন ।

 

আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই দুটি শব্দ দিয়ে দলের কর্মীদেরকে এইসবই বুঝানোর চেষ্টাই করেছেন । যে এই ধরণের লোকজনের কাছ থেকে নেতা কর্মীদেরকে দূরে থাকতে হবে , সাবধান থাকতে হবে ।

 

এখন বলতে পারেন , উনি অন্য শব্দ ব্যবহার করতে পারতেন । বুঝতে হবে মিডিয়ার ভাষা আর তৃণমূলের ভাষা এক না । তৃণমূলের শিক্ষিত , অর্ধ শিক্ষিত , অশিক্ষিতদের সাথে যত সহজ শব্দে যোগযোগ স্থাপন করানো যায় , বুঝানো যায়  জনাব ওবায়দুল কাদের তাই করেছেন ।

 

অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন উনিতো দলের সাধারণ সম্পাদক , দলকে এই প্রজাতির মানুষ থেকে দূরে রাখলেই পারেন । হ্যা তিনি তাই করেছেন , দলকে দূরে রাখার জন্যই কর্মীদের সতর্ক করেছেন যাতে তৃণমূলে এদেরকে প্রশ্রয় দেয়া না হয় । এবং তিনি আত্ম সমালোচনাও করেছেন । আর আত্ম সমালোচনা ভালো মানুষেরাই করে ।

 

হাসি ঠাট্টা না করে আপনি আমি যেটা আশা করতে পারি, তাহলো শুধু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নয় , মন্ত্রী এমপি এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এইসব থেকে আরো বেশি সতর্ক থাকবেন । কারণ কাউয়া এবং হাইব্রিড মুরগিদের বিচরণ ওনাদের ওখানেই  । আওয়ামীলীগের তৃণমূল অনেক অনেক বেশি খাঁটি এবং দৃঢ় ।

 

সুমনা অাক্তার লিলি –

সহ সম্পাদক

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *