দাগনভূঞা বারাহিগুনী দরবার শরীফ এলাকায় মাদরাসা ভাংচুর ও জায়গা দখল

দাগনভূঞা :
রবিবার ২ অক্টোবর সকালে ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার ৮ নং জয়লস্কর ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড বারাহিগুনী গ্রামে দরবার শরীফে শাহ পীর চিশতী নিজামী সুন্নী মাদরাসার জায়গা দখল ও মাদরাসা ভাংচুর করা হয়।

এলাকার বিশস্ত সুত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকায় দরবার শরীফের দুইটি পক্ষ আছে। একটি মূল বারাহিগুনী দরবার শরীফ পক্ষ অন্যটি চিশতিয়া মঞ্জিল পক্ষ।

বারাহিগুনী দরবার শরিফ নিয়ন্ত্রণ করে শাহ শেখ মোঃ নিজাম উদ্দিন চিশতী। চিশতিয়া মঞ্জিল নিয়ন্ত্রণ করে শেখ ফরিদ উদ্দিন চিশতীর ছেলে মাসুদুল হক চিশতী।

এখানে দুপক্ষের আলাদা মুরিদান রয়েছে। তাদের মধ্যে দরবার শরীফ ও মাদরাসার জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। আজকে এই বিরোধ সংঘসের রুপ নেয়। এতে শাহ শেখ মোঃ নিজাম উদ্দিন চিশতীর পক্ষের সাত জন গুরতর আহত হয়, পাঁচ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে।

বারাইগুনি দরবার শরীফের শাহ শেখ মোঃ নিজাম উদ্দিন চিশতীর ছেলে ছাবেরুল হক চিশতী তাৎক্ষনিক সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন,তিনি বলেন সকাল থেকে চিশতীয়া মঞ্জিলের মাসুদুল হক চিশতী সকাল থেকে দুই থেকে তিনশ বহিরাগত লোক নিয়ে তাদের উপর অর্তকীত হামলা করে। এতে নারী পুরুষ অনেকে আহত হন।

আহতরা হলেন,শেখ ছাবেরুল হক চিশতী, সাইফুল ইসলাম রানা চিশতী,জিয়াউল হক চিশতী, খাদেম সোবান চিশতী,রাহী চিশতী,সামের চিশতী। তিনি বলেন সকালে মাদরাসার ক্লাশ চলা অবস্থায় মাদরাসা হামলা করে মাদরাসা ভাংচুর করা হয়, মাদরাসার আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়, মাদরাসার আলমিরা থেকে জরুরী ফাইলপত্র নিয়ে যায়, মাদরাসার আলমিরা থেকে তিনলক্ষ টাকা লুটের অভিযোগ করেন।

তিনি এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি ব্রিফিং মূল হামলাকারী হিসেবে,মাসুদুল হক চিশতী, মান্নান, সোহাগ এদের নাম উল্লেখ করেন।
অন্য দিকে মাসুদুল হক চিশতীর সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

৮ নং জয়লস্কর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন উভয় পক্ষ মাদরাসার জায়গার মালিকানা দাবি করে মুরিদানে মুরিদানে মারামারির ঘটনা ঘটে।

পরবর্তীতে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আমি উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বৈঠকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ওই জায়গার মধ্যে কেউ কোন কাজ করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেন তিনি ।

দাগনভূঞা থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সকালে সংঘসের খবর পেয়ে ফোর্স পাঠিয়ে এবং আমি নিজে গিয়ে নিয়ন্ত্রনে আনি।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি, আমরা উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি।স্থানীয় চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মিলন সহ মাজারের উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি।তারা উভয়পক্ষ বসে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

তারা উভয় পক্ষ বৈঠকের ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে সবাত্মক সহযোগীতা করা হবে। এদিকে মাদ্রাসার ১৫০ ছাত্র ছাত্রী পড়া লেখার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *