সোনাগাজী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজীতে ভুমি বিরোধের জের ও সমাজপতিদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নারী নির্যাতনের মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ ও সু্ষ্ঠু বিচার দাবি করে ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আরআই আবদুল হক ফরাজী বলেন, আমার দুই চাচার মধ্যে ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছে। সমাধানের নামে আমার চাচা খুরশিদ আলমের কাছে এক লক্ষ চাঁদা দাবি করে ইউনিয়ন অা’লীগের সাধারন সম্পাদক- এবি সিদ্দিক দুলাল। খবর পেয়ে আমি দুলালকে জিঙ্গাসাবাদ করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। গতকাল সোনাগাজী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আমার প্রতিবেশি রফিকুল ইসলামের মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনার বিবরন দিয়ে ফেসবুকে কাল্পনিক তথ্য প্রচার করে। সেখানে আমি ও আমার পরিবারকে জড়ানো হয়। অপর ভুক্তভোগী খুরশিদ আলম জানান, তার নির্মানাধিন ঘরের কাজ চলাকালে ভাতিজারা বাধা দেয়। সমাধানের নামে দুলাল চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় সে এবং ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলায় ফাঁসানোর পায়তারা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী জান্নাতুন নাইম জানান, সোমবার দুপুরে উক্ত ঘটনার সময় সাক্ষীরা কেউই ঘটনাস্থলে ছিলেন না এবং যাদেরকে আসামি করার পায়তারা হচ্ছে তারাও কেউ ছিলেন। পুর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা অপপ্রচার ও মামলা সাজানোর চেষ্টা করছে রফিকের পরিবার। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে একটি ফেসবুক পেজে সোনাগাজী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন চৌকিদার রফিকুল ইসলামের মেয়ে লাইভে জানান, পুর্ব শত্রুতার জেরে একই বাড়ীর খুরশিদ আলম ও আবদুল হক তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এ ব্যপারে সদর ইউনিয়ন অা’লীগের সাধারন সম্পাদক- এবি সিদ্দিক দুলাল বলেন, ভূমি বিরোধের বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা সমাজপতি হিসেবে তাগাদা দিয়েছি তবে চাঁদাদাবি ও মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আরেফিন জানান, খবর পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করে জেনেছি, ভূমি বিরোধের জেরে নারী নির্যাতনের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল।