কাঠালিয়ায় ইটভাটায় ঘুষ কেলেঙ্কারির ধামাচাপায় মরিয়া সেই এসিল্যান্ডের দৌড়ঝাঁপ !

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া থেকে সম্প্রতি শাস্তিযোগ্য বদলি হওয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমিত সাহার ঘুষ কেলেঙ্কারির চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ ইটভাটায় ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মোঃ কামাল হোসেন সরেজমিন তদন্ত করবেন বলে জানাগেছে। এদিকে তদন্তকালে অভিযুক্ত এসিল্যান্ড সুমিত সাহা ও অভিযোগকারী পক্ষকে মুখোমুখি করা হবে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে।

অন্যদিকে দূর্নীতি ও ঘুষ কেলেংকারীর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ষ্টান্ডরিলিজ হওয়া এসিল্যান্ড সুমিত সাহা উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তার কাছে দৌড়-ঝাপ ও বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারী দিনভর সে কাঠালিয়ার শীর্ষ ঐ কর্মকর্তার সাথে গোপন বৈঠক করে তদন্তের বিষয়টি ম্যানেজ করার কৌশল গ্রহন করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে এসিল্যান্ড সুমিত সাহার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে একটি ইটভাটা থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আগামী ৩ মার্চ তদন্ত করার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশে প্রদান করা হয়েছে। নোটিশে নির্ধারিত দিন ও সময়ে স্বাক্ষী-প্রমানসহ দুপক্ষকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে কাঠালিয়া ভূমি অফিসের একটি সূত্র জানায়, ২৮ ফেব্রুয়ারী রবিবার এসিল্যান্ড (সুমিত সাহা) গোপনে কাঠালিয়ায় তাদের অফিসে আসেন। এসময় তিনি উপজেলা ভূমি অফিসে তার সাবেক কর্মস্থলের সহকর্মী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগের বিষয়ে তার পক্ষে লিখিত সাক্ষ্য দেয়ার জন্য অনুরোধের ছলে প্রচ্ছন্ন চাপ সৃষ্টি করেন।

এছাড়া তিনি উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তার সাথে দীর্ঘ সময় একান্তে আলোচনা ও তদন্ত মোকাবিলার কৌশল ঠিক করেন। এমন কি তিনি উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারীদের কাছে ‘আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে তিনি আবার কাঠালিয়ায় যোগদান করবেন’ বলে ঘোষনা দেন।

এদিকে ২৮ ফেব্রুয়ারী সুমিত সাহার কাঠালিয়ায় অবস্থান সম্পর্কে বর্তমান কর্মস্থল বরগুনার তালতলি উপজেলার নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান ‘দাপ্তরিক ভাবে এ্যাসিল্যান্ড সুমিত সাহা আজ কোন ছুটিতে ছিলেন না। তবে কাঠালিয়ায় উপজেলায় গেছেন কিনা তা তিনি জানেন না।’

এ ব্যাপারে কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, ‘একজন সরকারী কর্মকর্তা ব্যক্তিগত ভাবে তার পূর্বের কর্মস্থলে আসতেই পারেন। তবে এ্যাসিল্যান্ড সুমিতের সাথে (২৮ ফেব্রুয়ারী) তার কোনো সাক্ষাৎ হয়নি এবং তিনি কাঠালিয়ায় এসেছেন তাও জানেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *