মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী :
বাংলাদেশকে ‘উন্নয়নশীল দেশ’ স্বীকৃতি দেয়ায় বঙ্গকণ্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে সুবর্ণচরে ছাত্রলীগ।
১ মার্চ (সোমাবার)সন্ধ্যা ৭টায় সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আব্দুল্যাহ আল মামুন জাবেদের নেতৃত্বে চরজুবিলী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক বিশাল মিছিল বের করে উপজেলা ছাত্রলীগ। মিছিলটি সুবর্ণচর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হারিছ চৌধুরী বাজারে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাজারেন গোল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে জাবেদের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামি লীগ নেতা পন্ডিত, সুবর্ণচর উপজেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক আমির খসরু মাহমুদ, চরজুবিলী ইউনিয়ন আওয়ামি লীগের সাধারন সম্পাদক নুর নবী চৌধুরীসহ ছাত্রলীগ নেতারা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চরজব্বার ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামি লীগ সহ অংঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মি বৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশ এগিয়ে গেছে কয়েকগুণ, অনেক দেশকে পেচনে পেলে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল, শেখ হাসিনার সরকার আছে বলে উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে জনসাধারণ। এতো বড় প্রাপ্তি শেখ হাসিনার যোগ্যতার জন্যই হয়েছে। শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছি তার সব অবদান শেখ হাসিনা সরকারের।
আনন্দ মিছিলে অংশ গ্রহন করে কয়েকশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামি লীগের নেতা কর্মি।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিঃসন্দেহে গর্বের ও আনন্দের। গত ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) বৈঠকে বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। সাধারণত সিডিপির চূড়ান্ত সুপারিশের ৩ বছর পর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে চূড়ান্ত স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এ বিবেচনায় ২০২৪ সালে এই তালিকা থেকে বাংলাদেশের বের হওয়ার কথা থাকলেও করোনার প্রভাব মোকাবিলায় আরও ২ বছর বেশি সময় চেয়েছে বাংলাদেশ। এর মানে হলো, ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ আর এলডিসি তালিকায় থাকছে না। প্রধানমন্ত্রী এ উত্তরণকে ‘ঐতিহাসিক গর্বের’ বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন; বলেছেন-এর কৃতিত্ব এ দেশের আপামর জনসাধারণের।
উল্লেখ্য, মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা-এ তিনটি সূচকের ভিত্তিতে জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে থাকে। জাতিসংঘের পর্যালোচনায় ২০১৯ সালে মাথাপিছু আয়ের মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ১ হাজার ২২২ মার্কিন ডলার। ওই বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৮২৭ ডলার।
আর বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার। অর্থাৎ মানদণ্ডের প্রায় ১ দশমিক ৭ গুণ। মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদণ্ড ৬৬-এর বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫ দশমিক ৪। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে উত্তরণের জন্য মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ৩২ বা তার কম। ওই সময় এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৭।