মাহবুব রহমান বাবু, লক্ষীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার সীমান্তবর্তী ভুলুয়া নদীর উপর ভুলুয়া স্টীল ব্রিজটি গত এক যুগেও সংস্কার হয়নি।এই ব্রীজটি দেখার কেউই নেই,, গত দুই বছর যাবৎ স্টীলের পাটাতনগুলো মোরচা ধরে ধ্বসে গিয়ে এটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়,স্টিল ব্রীজটির পাটাতনের অংশগুলো মরিটা ধরে ঝরে গেছে ফলে ব্রীজটির উপর দিয়ে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।উভয় অংশের জনপদের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।
সুফিয়া বেগম বেগম নামে এক বৃদ্ধা তার গর্ভবতী মেয়েকে হাঁটিয়ে ব্রীজ পার করছেন।তিনি জানান,ব্রীজটি থাকলে তার মেয়ের এতো কষ্টো হতোনা।
স্থানীয়রা জানান,ব্রীজটি নির্মাণ হওয়াতে দুই অঞ্চলের জনপদের মানুষের মধ্যে মিলন ঘটে। এ ব্রীজটি দিয়ে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ নোয়াখালীর সুবর্ণচর হয়ে জেলা শহর মাইজদী, দেশের অন্যতম ব্যবসায়ীক কেন্দ্র চৌমুহনী, পাশ্ববর্তী জেলা লায় কৃষিতেও বিপ্লব ঘটেছে। এক কথায় ব্রীজটির কারণে দুই অঞ্চলের মাঝে গড়ে উঠেছিল অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন। বর্তমানে ব্রীজটি দিয়ে কোন গাড়ি পারাপার হতে না পারায় লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের। ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পুঙ্গত্ব বরণও করেছে।এক পর্যায়ে স্টীলের পাটাতনগুলোও মরিচা ধরে ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন দু-চারটা দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এমপি, চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের অনেকে দেখে যাওয়ার পরও ব্রীজটি সংস্কার হচ্ছে না।
স্থানীয়দের দাবী,অবিলম্বে স্টীলের ব্রীজটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হউক।।