সোনাগাজীতে জাল দলিল সৃজন করে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বসতভিটা দখলের পায়তারা

সোনাগাজী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজীতে জাল দলিল সৃজন করে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এনামুল হক ভূঞার ১৭ শতাংশ বসতভিটা দখলের পায়তারা করছে ওবায়দুল হক নামের এক প্রতারক।

সৃজিত বানোয়াট ওই দলিলের জমি দখলের লক্ষে একাধিকবার বয়োবৃদ্ধ ওই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রাননাশের চেষ্টা করে প্রতারকচক্র। এছাড়া হয়রানী মুলক ডজনখানেক মিথ্যা মামলা দেয়া হয় এনামুল হকের বিরুদ্ধে।

সোনাগাজী পৌরসভাস্থ ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এনামুল হক ভূঞা বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, বর্তমানে অবসরে থেকে পরিবার পরিজন নিয়া কোনমতে দিনাতিপাত করিয়া আসিতেছি। আমার একই সাকিনে বসবাসকারী মোঃ ওবায়দুল হক ( পিতা মৃত মোখলেছুর রহমান) আমার আপন শ্যালক।

তিনি আমার স্ত্রী হাজেরা বেগম অর্থাৎ তাহার বোনের নামীয় ৩৩৫৩/৯২ নং দলিলের ৩৪.৫০ ডিং ভূমি হইতে তাহার স্ত্রী কোহিনূর আক্তারের নামে ১৭.২৫ ডিং ভূমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৫৮৫৭/৯৫ নং জাল দলিল সৃজন করার বিষয়ে আমিও আমার পরিবার জানিতে পারায় বর্নীত ব্যক্তিদের সহিত যোগসাজশ করে আমার একই সাকিনের আলমগীর হোসেন স্বপনের স্ত্রী শাহেদা আক্তার, মৃত এন্তু খাঁনের ছেলে নুর ইসলাম খাঁন, নুর ইসলাম খাঁনের ছেলে নাছির উদ্দিন খাঁন, মৃত আবদুল আজিজের ছেলে আলমগীর হোসেন স্বপন, নাছির উদ্দিনের স্ত্রী খালেদা খানম প্রকাশ রুবি আক্তার আমারও আমার পরিবার পরিজনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ভাবে এসপিটি ১১৪/১৩ বাদী কোহিনূর আক্তার, এসজিআর ২৬৭/১৪ বাদী নুর ইসলাম, জিআর২০৬/ ১৪ বাদী সবুজ, জিআর২২৭/১৪ বাদী আবদুল খালেক , জিআর১০৯/১৪ বাদী কোহিনূর আক্তার, মিস ১০০/২০০৯ বাদী ওবায়দুল হক, মিস ১০৬/১২ বাদী কোহিনূর আক্তার উক্ত মামলা সমুহে বর্নীত ব্যক্তিগণ শোচনীয় ভাবে পরাজিত হন। এছাড়া বদী কোহিনুর আক্তারের দায়েরী দেওয়ানী ৪৩/ ১২ ইং মামলা হাইকোর্টে স্থগিত আছে। যাহা দেওয়ানী রিভিশন ৩৩৪৩ /১৬ মামলা মাননীয় হাইকোর্ট স্থগিত আছে।

আমার স্ত্রী হাজেরা বেগম নামীয় ২৫৪২/৯২নং দলিল মূলে ৩৭ ডিং ও ৩৩৫৩/৯২ দলিল মূলে ২৯ ডিং সর্বমোট = ৬৬ ডিং হইতে ৬ ডিং বিক্রয় বাদ ৬০ ডিং বসত বাড়ি হিসেবে পরিবার পরিজন নিয়া ৭টি পাকা ঘর নির্মান করিয়া বসত বাড়ি হিসেবে ভোগ দখল ক্রমে শাসন সংরক্ষণ করিয়া আসিতেছি। বর্তমান ভূমির বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে উক্ত ব্যক্তিগণসহ তাদের নিকটতম আত্মীয় স্বজন দিয়ে আমাকে আমার মালিকী দখলীকৃত খরিদা ভূমি হইতে উচ্ছেদ করার হীন চক্রান্তে উঠেপড়ে লেগেছেন।

প্রতারনা দলিল বাতিল সংক্রান্তে আমার স্ত্রী হাজেরা বেগমের দায়েরী দেওয়ানী ১০১/১০ ইং মোকদ্দমাটি আনয়ন করিলে বিবাদী পক্ষ শোচনীয় ভাবে পরাজিত হবেন জানিয়া মহামান্য হাইকোর্টে সি আর ৪৩২২/১৫ ইং মোকদ্দমা মূলে বাদী পক্ষের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করান। উক্ত মোকদ্দমাটি বিগত ৬/১/২০১৯ ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট খারিজ করে দেন। বিবাদী গন তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে জেলা ও দায়রা জজ বাহাদুর আদালত ফেনীতে বিবিধ আপিল ১২/১৯ আনয়ন করেন। বর্তমানে উক্ত মোকদ্দমা জেলা জজ আদালত ফেনীতে বিচারাধীন আছে। ইতিপূর্বে বিবাদীদের দায়েরকৃত রিভিশন ১৩/১৪ মোকদ্দমাটি জেলা জজ আদালত ফেনী নামঞ্জুর করে দেন।

বর্নীত ব্যক্তিগন তাদের দলিলে পৃথকভাবে চলাচলের রাস্তার জায়গা উল্লেখ থাকলেও অত্যন্ত সুচতুর ভাবে লোভও লালসার বশীভূত হয়ে আমার স্ত্রীর নামীয় বেনালিশী ভুমিতে জোর জবরদস্তি পূর্বক চলাচলের রাস্তা তৈরীর হীন চেষ্টায় মেতে উঠছে।তাদের দ্বারা আমিও আমার পরিবার পরিজন পূর্বেও বহু হামলা মামলা ও রক্তপাতের সম্মুখীন হই।

সোনাগাজী মডেল থানা উক্ত বিষয় তদন্ত করলে আমারও আমার পরিবার এমন হামলা মামলা রক্তপাতের সম্মুখীন হতামনা বলে বিশ্বাস করি।

বর্তমানে প্রতিপক্ষরা যে কোন সময় আমার জায়গাতে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরী করতে গেলে আমিও আমার পরিবার পরিজন দুষ্ট প্রকৃতির লোকদের বাধা প্রদান করিলে তাদের দ্বারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সহ খুন জখম হতে পারি মর্মে স্থানীয় প্রশাসন সহ প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। আদালতে মামলা চলমান থাকায় এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি ওবায়দুল হক।
বাংলারদর্পন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *