থানার ক্যাশিয়ারকে টাকা দিলেই সন্ধ্যার পর দোকান খোলার ‘পারমিশন’

প্রতিবেদক :

করোনার ধাক্কায় টালমাটাল গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। আর এই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ সরকার নিচ্ছে নানা উদ্যোগ। করোনার ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধা চিকিৎসকদের পাশাপাশি জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রশাসন। কিন্তু এই মহামারীতেও কিছু অসাধুরা রয়ে গেছে লাগামছাড়া।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়ম-কানুন তোয়াক্কা না করে রাতেই চলছে সড়ক, ফুটপাত ও গলির ভেতরে চলছে জমজমাট ভাসমান ব্যবসা ও দোকানপাট। নিয়ম না থাকলেও সেখানকার কথিত থানার ক্যাশিয়ার নামক ব্যক্তিদের টাকা দিলে মিলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভাসমান ব্যবসা খোলা রাখার ‌‘পারমিশন’— এমন অভিযোগ উঠেছে সিএমপির ইপিজেড থানার তিনজন কথিত ক্যাশিয়ার ও সোর্সদের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্তরা হলেন, সুলতান প্রকাশ ক্যাশিয়ার সুলতান, ইব্রাহিম ও মহিবুল। তিনজনেই ফুটপাত ও সড়কে বসা ভাসমান হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলেন।

সরেজমিনে (৯ জুন) বিকেল চারটার পর দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নিয়ম থাকলেও এসব নিয়ম তোয়াক্কা করছেন না চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার ব্যবসায়ী ও হকার শ্রেণী। বিকেল চারটার পর দোকান খোলা রাখার জন্য দিতে হয় নির্দিষ্ট অংকের টাকা। হঠাৎ ঘটনাস্থলে প্রতিবেদকের চোখে পড়ে এমনই চাঁদা উত্তোলনকারী এক থানার কথিত ক্যাশিয়ার ও সোর্স ইব্রাহিমের। প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে তিনি প্রথমে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে স্বীকার করে নেয় থানার পক্ষ হয়ে চাঁদা তোলেন তিনি।

সেখানকার ভাসমান দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা জানায়, করোনাভাইরাসে সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় বিকেল চারটার পরে এখানে ব্যবসা করার কোন নিয়ম নেই। তা জেনেও এখানকার কয়েকজন থানার লোক পরিচয়ে এসেই টাকা নিয়ে যায়। এরপর আর কেউ সমস্যা করে না।

সরকারের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা আরও জানায়, ‘এই এলাকায় হচ্ছে গার্মেন্টস এরিয়া। বিকেলের পর থেকে একটু ব্যবসা জমজমাট হয়। দুপুর থেকে তেমন ব্যবসা হয় না। তাই আইন-কানুন মানতে গেলে ব্যবসা করা আর হবে না।’

এবিষয়ে ইপিজেড থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ হোসাইনের সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততার অযুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং প্রতিবেদককে পরে কল করার পরামর্শ দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। -বাংলারদর্পন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *