চাকলাদার মার্কেট মালিক রাসেলের অপপ্রচারের প্রতিবাদে রিগ্যান’র সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদক : ১০জুন দুপুরে সোনাগাজীর ভোরের কাগজ কার্য‌ালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সোনাগাজীর চাকলাদার মার্কেট’র রিগ্যান ফ্যাশন গ্যালারীর স্বত্বাধীকারী আকবর হোসেন খোন্দকার প্রকাশ রিগ্যান বলেন,

আমি দু:খভরা ক্লান্তু মন নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি, গত ২৯/০৫/২০২০ইং তারিখ শুক্রবার দিবাগত রাত ১২:৪৫ মি:পূর্বে কোন এক সময় আমার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন যার মাধ্যমে আমি সবার সাথে পরিচিত দীর্ঘ ১৮ বছরের পরিশ্রমের তিল তিল করে গড়া জমানো ফসল আমার প্রতিষ্ঠান রিগ্যান ফ্যাশন গ্যালারী অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

রাত ১২:৪৫ মি: এ.এস.আই আবদুল্লাহ কল করে আমাকে অবগত করেন, আমি উক্ত অগ্নিকান্ডের কারণ জানিনা,আমি উক্ত অগ্নিকান্ডের সময় জানিনা। তবে এটাই সত্য যে আমার প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

পক্ষান্তুরে আমি সব কিছু হারিয়ে দিশেহারা আমার উক্ত অগ্নিকান্ডে ঘর মালিক ২৯/০৫/২০২০ ইং তারিখ দিবাগত রাত ঘর মালিকের দেওয়া তথ্য মোতাবেক সময় ১২ঃ৩০ মিনিট অর্থ্যাৎ ৩০/০৫/২০২০ ইং তারিখ বর্তায়, অজ্ঞাত কারণবসত (যা আমার অজানা) আগ্নিকান্ড সংগঠীত হয়। মালিকের দেওয়া তথ্য মোতাবেক(যাহা আমার অজানা) এসি এবং আই.পি.এস হইতে অগ্নিসংযোগ হয়, যা তাহার বক্তব্যে প্রতিয়মান, ঘর মালিকের জানামতে এবং সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্যে প্রমান পায় যে ঘরমালিক নিজে তার লোভ এবং হিংসা দাম্ভিকতার পরিচয় দিয়ে অত্র খোন্দকার ট্রেডার্স (রিগ্যান ফ্যাশন গ্যালারী)তে সুপরিকল্পিত ভাবে অগ্নি সংযোগ করেন।এবং তাকে সক্রিয় সহযোগিতা করেন ১নং অভিযোগকারী নূরকরিম শিমূল , পিতা- মৃত নুরুজ্জমান, প্রোপাইটরঃ- ওয়ালটন শোরুম ও ২য় অভিযোগকারী আবু ইউছুফ, পিতাঃ- মৃত বশির আহম্মদ, প্রোপাইটার:- ইভা টেইলার্স, চাকলাদার মার্কেট, সোনাগাজী ফেনী।

ঘরমালিক হিসাবে একজন দোকানদারকে শান্তুনার পরিবর্তে দোকান পোড়ার পরদিন উল্টো থানায় অভিযোগ করেন। এবং তিনি জুলহাস হোসেন প্রকাশ রাসেল চাকলাদার সংবাদ সম্মেলন করে বলেন যে – আমি, আমার মরহুম  মুক্তিযোদ্ধা  পিতা ও আমার বোনদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে।

আমার  ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে এবং বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করে আমার ব্যাবসায়ী মহল ও সমাজের কাছে মানহানি মূলক বিবৃতি প্রদান করেন ।

ঘটনার সুত্রপাতঃ- তারিখ ০১/১২/২০১৯ইং সময় অনুমান ১১ ঘটিকা সকাল,স্থানঃ- হীরা কনফেকশনারী, সিকিউরিটি বাবত ১০,০০০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা, এবং ভাড়া ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অপারগতায় মোখিকভাবে ঘর ছাড়িয়া দেওয়ার প্রস্তুাব।
২য় ঘটনাঃ- তারিখ ০৬/১২/২০১৯ইং,

১নং অভিযোগকারী নামঃ- নূরকরিম শিমূল , পিতা- মৃত নুরুজ্জমান প্রোপাইটরঃ- ওয়ালটন শোরুম শিমূল ইলেঃ, বিষয়ঃ- এসির সমস্যা জনিত কারনে থানায় অভিযোগ, অভিযোগকারী অন্য মালিকের ভাড়াটিয়া, মার্কেটের নামঃ- বিউটি ম্যানশন, আমার দোকান থেকে ৫/৭ ফুট দূরত্বে দোকান তার।

২নং অভিযোগকারী নামঃ- আবু ইউছুফ, পিতাঃ- মৃত বশির আহম্মদ, প্রোপাইটার:- ইভা টেইলার্স, চাকলাদার মার্কেট, আমার দোকানের পিছনের দোকানদার থানায় অভিযোগ করে বলেন , আমার দোকানের সাটার খুলতে অভিযোগকারীর সাজানো ঢল (পুতুল) নষ্ট হয়।

৩য় ঘটনা: – মালিক পক্ষের সাথে থানায় বৈঠক পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে থানার কর্মকর্তা সার্কেল অফিসার সাইকুল আহম্মেদ ভুঁইয়া বিপি-৬৬৯১০৬২৫০৫, আমার উপর হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন যা পরবর্তীতে ৬ (ছয়) মাসের সময় দিয়ে আমাকে উচ্ছেদ করার মর্মে অঙ্গিকারনামায় রূপান্তুরিত করেন, যার পরিপেক্ষিতে ফেনী এস.পি অফিসে আমি আমার ঘর মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করি যাহা আজ অবদি তদন্তুাধীন।
মূলত অত্র মার্কেট মালিকের পূর্বের ইতিহাস বিচার বিশ্লেষন করে দেখা যায় যে,চাকলাদার মার্কেটের মালিকপক্ষ দুষ্ট প্রকৃতির, পরধন লোভী এবং চক্রান্তুকারী,জোর জুলুমবাজ,দেশের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা করেনা এবং মামলা হামলা করে ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করেন যেমন:-

১/ মা মনি ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর।২/ আলম টেইলার।৩/ লিখক মর্তুজা স্বপন।৪/ সেলুন দোকানদার সুমন। ৫/ ক্ল্যাসিক বোরকা হাউজ। আমার জানামতে আলম টেইলার বলেছেন তিনি এখনো দোকানের জামানত বাবত মালিক পক্ষ থেকে ৩,৩৫০০০/-(তিন লক্ষ পয়ত্রিশ) হাজার টাকা পাবে, যার চুক্তিপত্রের ষ্টাম্প তার কাছে আছে, উকিল নোটিস করেছেন মালিকের বিরুদ্ধে, কিন্তু তারপরও চাকলাদার মালিক পক্ষথেকে টাকা উদ্ধার করতে পারেনি।

তারই ধারাবাহিকতায় লোভী প্রতারক মার্কেট মালিক চলে বলে কৌশলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাকার জোরে বিভিন্ন অপকর্ম সংগঠিত করে ভাড়াটিয়াদের মানসিক নির্যাতন করে এবং চুক্তির মেয়াদ থাকাকালিন সময়েও পূনরায় ভাড়াবৃদ্ধি ও সিকিউরিটির টাকা বৃদ্ধি করে চুক্তি নবায়ন করে, সিকিউরিটির টাকা আত্মসাৎ করে দোকানদাদের নিঃস্ব করে দেন।

এসকল ঘটনার পরিক্রমায় অদ্য ৩০/০৫/২০২০ইং তারিখে আমার প্রতিষ্ঠান খোন্দকার ট্রেডার্স(রিগ্যান ফ্যাশন গ্যালারীর) সর্বনাশের পরিসমাপ্তি সম্পাদিত করেন, চাকলাদার মার্কেটের হিস্যা অনুযায়ী অংশের মালিক জুলহাস হোসেন(রাসেল) এবং তারই ভাই মিনহাজ হোসেন (পাভেল)।

নিজ মালিকীয় নয় যৌথ মালিকীয়, কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে ও থানার আমার নামে দেওয়া লিখিত অভিযোগপত্রে জুলহাস হোসেন প্রকাশ রাসেল নিজ মালিকীয় মার্কেট বলেছেন।
আমার বর্তমান চুক্তিপত্রের মেয়াদকাল : ০১/০১/২০১৮ইং তারিখ হইতে-৩১/১২/২০২০ইং তারিখ পর্যন্তু বর্তমানে চলমান।

থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতীয়মান হয় যে, চুক্তির মেয়াদ প্রায় ০৭(সাত)মাস বাকী আছে, দোকান মালিক অস্থায়ী হিসাবে যাবতীয় ভাড়া পরিশোধ করেছি।

নূরুল করিম শিমূল প্রোঃ ওয়ালটন শোরুম এবং আবু ইউছুফ স্বত্তাধিকারী ইভা টেইলার্স দুইজনের অভিযোগে সার্কেল অফিসার সাইকুল আহম্মেদ ভুঁইয়া সাদা কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করেন পরবর্তীতে জানলাম যে, উক্ত স্বাক্ষরিত কাগজে আমার
মার্কেট মালিক জুলহাস হোসেন(রাসেল) স্বাক্ষরিত ভুয়া ও জাল মিমাংশা নামা তৈরী করেন, যাহাতে আমার চুিক্তর মেয়ার থাকা অবস্থায় দোকান ঘরটি ০৭/০৬/২০২০ ইং তারিখে মালিক পক্ষকে বিনা শর্তে বুঝিয়ে দিতে হবে, উক্ত সিদ্ধান্তেুর বিষয়ে আমি মোটেও অবগত নয় অথচ আমার চুক্তিপত্রের মেয়াদ আগামী ৩১/১২/২০২০ইং পর্যন্তু বিদ্যমান। এই সুযোগে ২৯/০৫/২০২০ইং তারিখে অগ্নি সংযোগ করেন, যাতে আমি ০৭/০৬/২০২০ইং তারিখে দোকান ঘর ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হই।

নুরুল করিম শিমূল প্রোঃ ওয়ালটন শোরুম, বিউটি ম্যানশনের ভাড়াটিয়া অভিযোগকারী, অভিযোগপত্রটি আমাকে সরবরাহ করিতে দেয়নি । যেহেতু অভিযোগের আলোকে বুঝা যায় যে, মূলঘটনা ঘর মালিকের সাথে নয় কিন্তু চক্রান্তু ঘর মালিকের, ইহা তার বক্তব্যে প্রতিয়মান। উক্ত ঘটনায় প্রেক্ষিতে আমি মর্মাহত আর বেশি কিছু বলতে চাইনা, সোনাগাজী বাজারের বনিক সমিতির সভাপতি ও সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা এবং শান্তুনা একজন ব্যাবসায়ী হিসেবে অভিভূত করেছে, সোনাগাজী বাজারের নয় যেন বাংলাদেশের কোন ব্যাবসায়ী এ ধরনের লাঞ্চনার স্বীকার না হয় এবং ঘর মালিক জেন কোন দোকান মালিককে হেনেস্তুা না করতে পারেন, এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বাংলারদর্পন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *