শেখ সিরাজউদ্দৌলা লিংকন, কয়রা :
আম্পান শেষ হয়েছে সেই ২০দিন আগে কিন্তু দূর্ভোগের যেন শেষ হচ্ছিল না কিছুতেই । একটি বাধ-ই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল লক্ষাধিক মানুষের জন্য। অবশেষে দীর্ঘ ভোগান্তির পর দুর্ভোগের নোনা পানি মুক্ত হতে পারল কয়রার মানুষ।
১০জুন বুধবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হরিণখোলা ঘাটাখালি ক্লোজার-এর রিং বাঁধ মেরামত কাজ সম্পন্নের পর ওই এলাকার আইনজীবী আরাফাত হোসেন তার অনুভূতি এভাবেই ব্যক্ত করছিলেন। এ বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সাংসদের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হলো।
জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবুর বলিষ্ঠ পদক্ষেপে এলাকার প্রায় দশ হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতে অংশ নেয়, এ সময় স্থানীয় সাংসদ ও নির্বাহী অফিসার কে গ্রামবাসীর সাথে কাজ করতে দেখা যায়। কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে কয়েক হাজার মানুষ সপ্তাহব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বুধবার দুপুরে প্রায় ৫শ মিটার দৈর্ঘ্যের রিংবাঁধটি আটকে দেয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মহসিন রেজা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কমলেশ কুমার সানা,কয়রা সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মো.নজরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা, আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান মো.আমীর আলী গাইনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বাঁধ মেরামতের কাজে সহযোগিতা করেন।
পানিবন্দিরা রিং বাঁধের মাধ্যমে সাময়িক পানি আটকিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেলেও আতঙ্ক কাটছে না তাদের, এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনা ৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু বাংলারদর্পনকে বলেন, এখন আর আতঙ্কের কিছু নেই সর্বক্ষণ রিং বাঁধ মেরামতের কাজ চলবে, ইনশাল্লাহ আগামী অক্টোবর-নভেম্বর এর মধ্যেই উপকূলীয় এ অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধ এর কাজ শুরু হবে। বাংলারদর্পন