অক্টোবরে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল : গুরুত্বপূর্ন পদে আসতে পারেন সোহেল তাজ

নিউজ ডেস্কঃ

রাজনীতি থেকে মান অভিমান করে দূরে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ আবারও ফিরছেন দলের সক্রিয় রাজনীতিতে। আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত সেজন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে। প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জীবিত থাকাবস্থায় সোহেল তাজকে রাজনীতিতে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হলেও সেসময় তা সম্ভবপর হয়নি। আওয়ামী পরিবারের সন্তান সোহেল তাজ ইতিমধ্যে বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সংকেত পেয়েছেন।

প্রায় এক দশক আগে অভিমান করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তারও দুই বছর পর সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে আর না জড়ানোর কথা বলেছিলেন। তবে রক্তে যেহেতু রাজনীতি তাই তিনি আবারও ফিরছেন তার ঘর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। আসন্ন কাউন্সিলের মাধ্যমেই সোহেল তাজকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বহুদিন পর গত সোমবার (১ জুলাই) রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান সোহেল তাজ। সভানেত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি সভানেত্রীর দোয়া নেন তিনি। এ সময় তাকে বেশ উৎফুল্ল ও ইতিবাচক দেখা গেছে। তারপর থেকেই গুঞ্জন ওঠেছে তাহলে কি রাজনীতিতে ফিরছেন সোহেল তাজ?

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহেল তাজ প্রায় ১০ মিনিট অবস্থান করেন কার্যালয়ে। পরে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হাতে ছেলের বিয়ের কার্ড তুলে দেন।

সোহেল তাজের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তবে রাজনীতিতে ফিরে আসার বিষয়ে এখন বেশ ইতিবাচক সোহেল তাজ। আওয়ামী লীগের রাজনীতির বাইরে তিনি কখনও ছিলেন না। প্রত্যক্ষভাবে দলের সঙ্গে না থাকলেও পরোক্ষভাবে সবসময়ই ছিলেন।

২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোহেল তাজ। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেও ২০০৯ সালের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পরে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১২ সালের ৭ জুলাই সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। রাজনীতিতে না জড়ানোর কথা বললেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসনে বোন সিমিন হোসেন রিমির নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। বোনের নির্বাচন উপলক্ষে দীর্ঘদিন পর এলাকাবাসী সোহেল তাজকে পেয়ে বেশ খুশিই হন। মূলত তারপর থেকেই আলোচনা জোরালো হতে থাকে রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবনে সোহেল তাজের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ছেলে ব্যারিস্টার তুরাজ আহমদের বিয়ে করছেন ড. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া এবং ড. আবিদা সুলতানা ইভার একমাত্র কন্যা লাবিবা জামানকে। সে বিয়ের কার্ড নিয়ে সোহেল তাজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছিলেন নিমন্ত্রণ দেয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *