নুর নবী লিটন, সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর ও পৌর অা’লীগ নেতা।
৪ মার্চে রাতে ফেইসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মনের লুকায়ীত কষ্টের কথা জানান, তাঁর স্ট্যাটাসটি নিম্মরুপ:
আপনারা নিশ্চয় আমাকে চেনেন, আমি নিতান্তই একজন তৃনমূল অসহায় আওয়ামীলীগ কর্মী। আর এই কর্মী থাকার কারনে বঙ্গবন্ধু কে ভালবাসি বলে দল সমর্থন করি, নৌকায় ভোট দেই এবং সাধ্যমত দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নে বিভোর থাকি সব সময়। নেতা, নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা, নিয়ম কানুন বা সাংগঠনিক বিধি-বিধান ওসব আপনাদের জানা ও মানা একান্ত আবশ্যক বটে, ওসব আমার মত দলের পদ পদবীহীন নিরিহ কর্মীর জন্য মোটেও প্রযোজ্য নয় তাও নিশ্চয় জানেন।
আমি আওয়ামীলীগ করি দলের শুভাকাঙ্ক্ষী বলে আপনাদেরই শুভাকাঙ্ক্ষী কিন্তু কারো শত্রু নই। এ কারনে আপনাদের যে কারো যে কোন আদেশ মানতে হবে আমায় এমন কোন আইন ও নাই এবং আমি তা মানতে বাধ্য ও নই। আমি কি কারো গোলাম যে আমার তার সব আদেশই মানতে হবে ? আপনাদের মত আমিও আওয়ামীলীগ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত যে কোন নেতার প্রতি সম্পুর্ন আস্থাশীল, কারো প্রতিপক্ষ নই। আমি কোন গ্রুপিং লবিং কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে নাই, হালুয়া রুটির ভাগের মধ্যেও নেই তাহলে আমায় নিয়ে কেন আপনাদের কারো মাথা ব্যাথা হবে আমি বুঝিনা। কেউ কোন অনুরোধ করলে সম্ভব হলে রাখবো না পারলে সরি বলা ছাড়া কি করার থাকে বলুন ? আপনাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, বুকে হাত দিয়ে বলুনতো কে কখন আমার কোন উপকারে এসেছেন, কোন কাজে কি সহযোগিতা করেছেন বলতে পারেন ? আমিও যে আপনাদেরই দলের ব্যানারে নির্বাচিত কাউন্সিলর। গত এক বছরে আমি কি পেয়েছি, কি দিয়েছেন, আমায় দিয়ে কতটা এলাকার উন্ময়নের কাজ করিয়েছেন বা কতটুকু সুযোগ দিয়েছেন তা কি বলতে পারবেন ? খোজ নিয়েছেন একবারের জন্য এই একবছর আমার কেমন কাটলো, কি করছি, কেমন আছি, দায়িত্ব পালনে কতটা ভুমিকা আপনারা নিয়েছেন বলুন দেখি ? শুধু নির্দেশ দেবার অধিকার আপনাদের আর মানার অধিকার আমার এ কেমন নিয়ম ভেবে দেখুন প্লিজ। তবুও আছি দলের সাথে, থাকব তবে সব সুভিধার বেলায় আপনারা আর নিয়মের বেলায় আমার মত অসহায় কর্মীরা তা হতে পারেনা। কষ্ট হয় তখন যখন সব কিছু থেকে বঞ্চিত করেও নিজেদের ইচ্ছা মাফিক আমাদের ব্যাবহার করতে ইচ্ছা করেন আর আপনাদের কথার বাইরে গেলেই বিচার দিয়ে বসেন যদিও সব সুযোগ সুভিধা নেবার বেলার আমাদের কথা আপনাদের মনে থাকেনা, লাভের ভাগ আপনাদের আর চাপের ভাগ আমাদের এই হল অবস্থা। কর্মীর মুল্যায়ন করুন তারা নিজে থেকেই আপনাদের কথা শুনবে, অবমুল্যায়ন নেতার প্রতি কর্মীর দুরত্ব বাড়ায় দুরে সরায় প্রতিনিয়ত ভুলে যাবেন না প্লিজ।
ভাল থাকুন মাননীয় নেতৃবৃন্দ, নিরন্তর শুভ কামনা সবার জন্য, জয় বাংলা।