ফেনী-৩ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জহির উদ্দিন লিপটন

সৈয়দ মনির আহমদ:
২০২৩সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নির্বাচনে তরুন ও ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্রনেতাদের সুযোগ দিতে পারে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ । সারাদেশে দলের তৃনমূল ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সাবেক ছাত্রনেতাদের কর্মকান্ড এবং জনপ্রিয়তার তথ্য সংগ্রহ করেছে সভানেত্রীর বিশেষ টিম। ফেনী-৩ নির্বাচনি এলাকায় সোনাগাজী ও দাগনভূঞা দুটি উপজেলা । এখানে প্রায় চার লক্ষ ভোটার রয়েছে। দুই উপজেলা বর্তমানে আ’লীগ -বিএনপির ভোট প্রায় সমান সমান । তবে যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থী যে দল দিতে পারবে তাদেরই জয় হবে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক (সাবেক) জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন। তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আহাম্মদ আমৃত্যু আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, ছাত্র রাজনীতিতে সাহসী ভুমিকা, ওয়ান-ইলেভেনের পর শেখ হাসিনার পক্ষে রাজপথে জোরালো ভুমিকার কারণে লিপটন দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরামের আস্থায় রয়েছেন। এমনকি নিজ নির্বাচনী এলাকায়ও জনগণের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। মনোনয়ন বোর্ডেও পছন্দের প্রার্থী ছিলেন লিপটন। কিন্তু মহাজোটকে আসনটি ছেড়ে দেয়ায় মনোনয়ন বঞ্চিত হন লিপটন। অবশেষে সেই মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তে ২০১৯সালে সোনাগাজী উপেজলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। এবং সম্মানে সকল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় একক প্রার্থী হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০সালে ফেনী জেলা আ’লীগের সম্মেলনে যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মনোনীত হন।

উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের পদ পাওয়ার পর থেকে দলের সকল কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি ঘরে ঘরে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন প্রচারের জন্য গ্রাম থেকে গ্রামে চষে বেড়াচ্ছেন। ক্লিজ ইমেজের সাবেক ছাত্রনেতা হওয়ায় দলমত নির্বশেষে সর্বস্তরের মানুষ তাকে আপনজন হিসেবে গ্রহন করেছেন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী রবিন বলেন তরুন -ছাত্র সমাজের কাছে বেশ জনপ্রিয় জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন। এ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন নেতৃত্বশুন্যতায় ছিল । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগের সভানেত্রী মুল্যায়ন করলে লিপটনের হাত ধরেই এ এলাকার মানুষ নতুন ভাবে স্বপ্ন দেখবে।

উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক (সাবেক) সৈয়দ দীন মোহাম্মদ বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবার মাঝে স্থান করে নিয়েছেন জেলা আ’লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান লিপটন। সন্ত্রাস কবলিত এ আসনটিতে রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়নে লিপটনের বিকল্প নেই।

দাগনভূঞা উপজেলা আ’লীগ নেতা  সোহাগ  বলেন, সোনাগাজী-দাগনভুঞা আসনের জনগন দীর্ঘদিন আ’লীগের এমপি পায়নি । সরকারে থেকে টানা ৪২বছর এখানে আ’লীগের এমপি পায়নি আমরা। এখানে লিপটনের মত একজন দক্ষ ও তরুন নেতাকে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দিলে নতুন করে এখানে পুনর্জীবিত হবে আওয়ামীলীগ।

সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুল আরেফিন বলেন, লিপটন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ফেনী-৩ আসনে স্বচ্ছ অবস্থানে থেকে রাজনীতিতে টিকে আছেন। তরুণ ভোটার, নেতাকর্মী ও জনগণের পছন্দেও এগিয়ে আছেন তিনি। ২০০১ পরবর্তি সময়ে দলের নেতৃত্বশুন্যতার সময় এখানে হাল ধরেছিলেন তিনি। তাকেই সঠিক মুল্যায়ন করা উচিত।

তিনি আরো বলেন , ফেনীর দক্ষিন অঞ্চলে মাস্টার এবিএম তালেব আলী ছিলেন সরবজন শ্রদ্ধেয় জননেতা। তিনি তিনবার আ’লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছিলেন। তার পর আর কোন এমপি পাইনি আমরা। আশাকরি বঙ্গবন্ধুকন্যা মুল্যায়ন করলে সেই তালেব আলীর স্থলাভিষিক্ত হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *