ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ২৬৬ নং (ফেনী-২) আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক- জয়নাল আবেদিন।
এছাড়াও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জিয়াউল আলম মিস্টার বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি এবং মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করার ঘোষনা দিয়েছেন।
বিএনপির দলীয় সুত্র জানায়, ধানের প্রতিক পাচ্ছেন জয়নাল আবেদিন। তবে জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল সহ সকল সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মনে করেন, গত ১২বছর মামলা থেকে বাঁচতে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে নামেননি তিনি। দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় জয়নাল আবেদিন মনোনয়ন পেয়েও মাঠে নামতে পারেননি। ফেসবুকে নেতাকর্মীরা সরাসরি জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে স্টাটাস দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
সম্প্রতি ভুমি দখলের অভিযোগ এনে তাঁর ভাগিনা যুবদল নেতা জহির উদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করেছেন।জানা যায়, ১৯৭৪ সালে দুৃর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ২০০০ সালে বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন জয়নাল আবেদিন। বার বার দল পরিবর্তনের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অতিত বর্তমান মিলে তাঁর চেয়ে এগিয়ে জিয়াউল আলম মিস্টার। যিনি চরম দুঃসময়ে সকল আন্দোলন -সংগ্রামে নেতাকর্মীদের পাশে আছেন এবং নিজেও জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন।
অপরদিকে আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট থেকে মনোনয়নপ্রাপ্ত সাংসদ নিজাম হাজারীর নেতৃত্বে এ আসনে আওয়ামীলীগ সুসংগঠিত। ফেনীতে একমাত্র এ আসনটি আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাঁটি। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মনে করেন বিএনপির দ্বিধাবিভক্তির কারনে মহাজোট প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত।
#বাংলারদর্পন।