মুজিবুর রহমান তোতা, বার্সেলনা (স্পেন) থেকে :
বার্সেলোনায় স্থানীয় একটি রেষ্টু্রেন্টে গত ২৯সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে বার্সেলনার সিলেটবাসীরা সংবর্ধনা সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন । উল্লেখ্য গত বৈশাখী মেলায় তিনি বার্সেলনায় আসলে সিলেটের কিছু লোক তিনির কাছে জালাল আবাদ সংঘটন করার লক্ষে অনুমোদন চান ,তখন তিনি দুই জনকে আহবায়ক করে দায়িত্ব দিয়ে যান । দায়িত্ব প্রাপ্তরা্ সকল সিলেট বাসীদের না জানিয়ে তাদের নিজেস্ব কিছু লোক নিয়ে পুর্নাঙ্ঘ কমিটি করতে গেলে ,বার্সেলনার বসবাসরত সিলেট বাসীরা শুনতে পান , যদিও প্রথমত গোপন ছিল পরে এক পর্যায়ে লোক চুক্ষে সম্পুর্ন বিষয়াদি বেড়িয়ে আসে । তখনই সিলেটের সচেতন মহল এই বিষয়ের উপর মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন । আলোচনা পর্যালাচনার পর সিংহ ভাগ সিলেটিরা সর্ব সম্মতি ক্রমে ,১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি ঘটন করেন । এই কমিটির দায়িত্ব ছিল ইউরোপ আহবায়ক মুহিবুর রহমান মুহিবের সাথে আলাপ আলোচনা করে সর্বস্তরের সিলেটেবাসীকে নিয়ে গ্রহন যোগ্য একটি জালাল আবাদ সংঘটন যাহাতে বার্সেলনায় করা যায় সেই দায়িত্ব তাদের অর্পন করা হয় । দায়িত্ব প্রাপ্তরা ইউরোপ আহবায়কের সাথে আলোচনা করলে তিনি বার্সেলোনায় আসবেন বলে গত ২৯/১০/২০১৮ শনিবার দিন ধার্য করেন । তার আগমন উপলক্ষে সিলেট বাসীরা এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেন । সংবর্ধনা সভায় সিলেটের শুশীল সমাজের ব্যাক্তিগন মুহিবুর রহমানকে প্রশ্ন করেন , আপনি যে ব্যাক্তিদের কে প্রধান এবং যুগ্ন আহবায়ক করে জালাল আবাদের সংঘটন করার দায়িত্ব দিয়ে গেলেন । তাদেরকে ,সিলেটের অনেকেই চিনে না , সমাজে তাদের পরিচিতি খুবই কম , আপনি একটু সোচ্ছার ভাবে খোঁজ খবর নিলে হয়ত সুপরিচিত কাউকে দায়িত্ব দিলে প্রবাসি সিলেট বাসীদের উপকৃত হত ।
। তারই পরিপ্রক্ষিতে সভায় উপস্থিত সিলেট বাসীরা পরিচিত এবং চেনা জানা সৎ মানুষের কাছে দায়িত্ব ভার দেওয়ার দাবি জানালে , মুহিবুর রহমান বলেন , তাদের কে সেন্ট্রাল থেকে পারমিশন দেওয়া হয়ে গেছে , তারা সংগঠন রেজিস্ট্রেশন ও করে ফেলেছে , এক /দুই বৎসরের জন্য তাদের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার মনো্ভাব প্রকাশ করলে । উপস্থিত জনতার মধ্যে্ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় । এক পর্যায়ে অনেকে হাউজ্ ছেড়ে চলে যান । অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , আমরা আশাবাদী ছিলাম আপনার আগমনে সুন্দর সমাধান হবে , কিন্তু আপনার এ রকম অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে আমরা সিলেটের সিংহ ভাগ মানুষ মর্মাহত এবং অসন্তোষ।
বক্তারা জালাল আবাদের কেন্দ্র কমিঠির দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন । আমরা ইউরোপে এমন এক জন নিবেদিত প্রান চাই , যার সোহার্দে ইউরোপের প্রত্যেকটা দেশে জালাল আবাদ সংগঠন গঠনে সহায়ক হবে ।