সোনাগাজী প্রতিনিধি। সোনাগাজীর কারামতিয়া বাজারের ব্যাবসায়ী নুর হোসেন সবুজ হত্যার বিচার দাবীতে শুক্রবার বিকেলে কারামতিয়া বাজারে মানববন্দন করেছেন স্থানীয়রা। মানববন্দনে সবুজের পিতা সাহাবুদ্দিন বলেন, খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে অাছেন। নানা কৌশলে খুনিরা অব্যহত হুমকি দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল কারামতিয়া বাজারে নুর হোসেন সবুজকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছিল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। ওইদিন রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় কারামতিয়া বাজারস্থ তিন রাস্তার মোড়ে নিহত সবুজের চায়ের দোকানে ঘটনাটি ঘটে।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় ১৯ এপ্রিল সবুজের পিতা সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে মূল হোতা সাইফুল ইসলাম জুয়েলকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭-৮ জনকে আসামী করে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর সোনাগাজী মডেল থানার প্রাক্তন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর (প্রায় ৯ মাস পর) মামলার চার্জসিট আদালতে প্রেরণ করেন। চার্জসিট অনুয়ায়ী উল্লেখিত ৯ আসামীর মধ্যে এজাহার নামীয় ৯ নং আসামী সাইফুল ইসলামকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে কোন সাক্ষপ্রমাণ না পাওয়ায় অত্র মামলার আসামী থেকে অব্যাহতির জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রার্থনা করলে আদালত তাকে খালাসদেন । অন্যদিকে অজ্ঞাতনামায় ৭-৮জন আসামীর মধ্যে কাউকে চার্জসিটে অর্ন্তভুক্ত না করায় হতাশায় ভুগছেন নিহতের পরিবার।
মামলার বাদী সাহাব উদ্দিন জানান, আমি হতদরিদ্র হওয়ার কারণে আমার ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার পাচ্চি না। দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও অপশক্তির কারণে প্রশাসন আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিচ্ছেন না এবং মামলার সুষ্ঠ তদন্ত করা হয়নি।
সবুজের স্ত্রী রজিনা আক্তার বলেন, আমি ঘর থেকে বাহির হইলে পথে-ঘাটে আমাকে ইভটিজিং করে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। রোজিনা আক্তার আরো অভিযোগ করে বলেন, মামলা প্রত্যাহার করে না নিলে আমার শিশু সন্তানকে তারা হত্যা করবে।
জানাযায়, এজাহার নামীয় ৮ নং আসামী সোহাগকে এবং ৩নং আসামী নুর আলম মেম্বারকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছিল। বর্তমানে তারা জামিনে আছেন। এরপর ৪ নং আসামী মোরশেদ আলম আদালতে অাত্মসমর্পন করেন। তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন।কিন্তু মূল হোতা সহ অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফ্তারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন চেষ্টা নেই বলে বাদীর পক্ষের অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি তদন্ত হারুন জানান, আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুত তাদেরকে আইনের আওয়তায় আনা হবে।হারুন আরো বলেন, মূল হোতা জুয়েল সহ অন্যান্য আসামীরা পলাতক রয়েছেন।