নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে আসা প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি দুই একদিনের মধ্যে লন্ডনে ফিরে যাচ্ছেন। জানা গেছে, ঢাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কায় লন্ডন থেকে তারেক রহমানের জরুরি বার্তার প্রেক্ষিতে তাকে ফিরে যেতে হচ্ছে।
কারাবন্দী শাশুড়িকে দেখতে গত ২৯ মার্চ শর্মিলা রহমান ঢাকায় আসেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার এ সফর আরও দীর্ঘ হওয়ার কথা থাকলেও অতি দ্রুতই তাকে ফিরে যেতে হচ্ছে। কথা ছিলো খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্ত হলে তিনি শাশুড়িকে নিয়ে লন্ডনে ফিরবেন। যেহেতু আপাতত বেগম খালেদার মুক্তির সম্ভাবনা কম এবং ঢাকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীলতার দিকে গড়ানোর সমূহ আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে তাই শর্মিলাকে দ্রুত লন্ডনে ফিরে যেতে বলেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমান।
এ বিষয়ে জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের মারফত জানা গেছে, শর্মিলা রহমান বেগম জিয়ার প্যারোলে মুক্তি হলে তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসার বিষয়ে তারেক রহমানের দেয়া কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছিলেন। তার মধ্যে একটি ছিলো, যেহেতু কোনভাবেই বিএনপির আন্দোলন-কর্মসূচি সফল করা যাচ্ছে না সেহেতু সামাজিক কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারের ভাবমূর্তি ও দেশের স্থিতিশীলতা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা। আর সেই সুযোগ আসায়, শর্মিলা রহমানকে দ্রুত লন্ডন ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। কেননা পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে তার দায় শর্মিলার ওপর আসতে পারে।
বিশ্বস্ত সূত্রের মারফত জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তারেক রহমানের নির্দেশে আন্দোলনস্থলে কিছু মুখোশধারী ছাত্রদল কর্মীদের ঢুকানো হয়েছিলো। সাধারণ আন্দোলকারীদের মধ্যে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তা মুহূর্তে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়। যার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর এবং ছাত্রদল কর্মীদের একাংশ চারুকলায় নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা সরঞ্জামাদিও ভেঙে ফেলে।
উল্লেখ্য, ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠলে তারেক রহমানের পক্ষ হতে সেদিন রাতেই শর্মিলা রহমানকে লন্ডন ফিরে যেতে বলা হয়।