৭ ডাকাত গ্রুপের কাছে জিম্মি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক!

 

ডেস্ক রিপোর্ট :

৭ টি ডাকাত গ্রুপের কাছে জিম্মি হয়ে আছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার যানবাহন। বিশেষ করে ফেনী’র লালপুর থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা পর্যন্ত সাতটি পয়েন্টে চলে নানা কৌশলে যানবাহনে ডাকাতি। গত দু’বছরে র্যাবের গুলিতে ৮ ডাকাতের মৃত্যু হলেও মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধ হয়নি। তবে ডাকাতি প্রতিরোধে টহল জোরদারের পাশাপাশি আকস্মিক চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে দাবি হাইওয়ে পুলিশের।

দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন হিসাবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে দিনে রাতে ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু মহাসড়কগুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শিথিল অবস্থানের কারণে সক্রিয় বেশ কয়েকটি ডাকাত গ্রুপ। স্থানীয় ডাকাতদলের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আশপাশের জেলার ডাকাতদলের সদস্যরা নতুন গ্রুপ করে এসব ডাকাতি করছে বলে তথ্য র্যাবের।

র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখানে ৬-৭টি ডাকাত দল কাজ করে। তারা হাইওয়েতে ডাকাতি করে। এই ডাকাত দলগুলো ফেনী, মুন্সিগঞ্জ থেকে আসে।’

চার লেনের এই মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ কোনো ধরনের বসতি নেই বললেই চলে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে ডাকাতদল।

কুমিরা ইউনিয়ন সদস্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন গাড়ি থেকে ডাকাতি করে, পথচারির থেকে ডাকাতি করে। ছিনটাই করে মানুষের জিনিসপত্র নিয়ে যায়। মানুষের ক্ষতি করে। আমরা এলাকার জনগণ উদ্বিগ্ন।’

প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মহাসড়কের চট্টগ্রাম অংশ দেড়শ কিলোমিটারের বেশি। এর মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের ফাঁড়ি রয়েছে মাত্র ৩টি।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, ‘আমরা এখন টহল ব্যবস্থা এখন দ্বিগুণ করেছি। আকস্মিক চেকপোস্টের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আকস্মিক চেকপোস্টের ব্যবস্থা করেছি।’

সবশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে সীতাকুণ্ডের কুমিরায় র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় সেলিম নামে এক ডাকাত। এর আগে একইভাবে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর ফেনীতে দু’জন, ২৯ অক্টোবর মিরসরাইয়ে ৩ জন এবং ১৮ এপ্রিল জোরারগঞ্জে ২ জন ডাকাত মারা যায়।

 

#সময় নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *