নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে সবজি অন্যতম।যা ছাড়া একটি দিনও ভাবতে পারিনা আমরা। আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণের পাশা পাশি শরীরের অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি পূরনেরও প্রধান মাধ্যম এটি।
এই অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানটির ব্যপক সংকট দেখা দিয়েছে খাগড়াছড়ির হাট বাজার গুলোতে।
অল্প সল্প যা পাওয়া যাচ্ছে তা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
সরেজমিনে,খাগড়াছড়ির বেশ কিছু হাটবাজার ঘুরে দেখা যায়,বাজারে তেমন কোন মৌসুমী সবজি নেই।খালি পড়ে আছে বেশ কিছু সবজির টং।
কথা হয় মাটিরাংগা বাজারের সবজি বিক্রেতা লিটনের সংগে।এমন আকালের বাজারেও তাঁর দোকানে রয়েছে বেশ কিছু মৌসুমী সবজি।তবে মূল্যটা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
সবজির দাম এত বেশী কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,সারা দেশ পানিতে ভরে রয়েছে সবজি আসবে কোথা থেকে?পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেতো আসবে।আমি স্থানীয় ভাবে কিছু সংগ্রহ করেছি তবে তা চড়া মূল্যে।দাম একটু বেশী হলেও এখানেতো তাও পাচ্ছেন।অনেক হাটেতো বাড়তি টাকা দিয়েও সবজি খুজে পাবেননা।স্থানীয় ভাবে সংগ্রহ করায় দাম একটু বেশি পরেছে।তাই আমরাও একটু বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসলে দাম কমে যাবে।তখন আমরাও কমে বিক্রি করবো।
কথা হয় বাইল্যাছড়ি থেকে মাটিরাংগা বাজারে বাজার করতে আসা সচিব ত্রিপুরা(৪৫)নামেএক মধ্যবয়সী লোকের সাথে,কি বাজার করলেন কত টাকার বাজার করলেন
জিজ্ঞেস করতেই বল্লেন,কিছু দিন আগেও দুইশত টাকা দিয়ে বাজার করলে মোটামুটি হয়ে যেত।কিন্তু আজ ৭০০ টাকার বাজার করলাম
কিন্তু বাজার আগের তুলনায় তলানীতে।আমি দিন মজুর মানুষ আমার পক্ষে এটা ভীষন কষ্ট সাধ্য।
বাজার ঘুরে দেখা যায়,প্রতি কেজি গাজর ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।কচুছড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা।বগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা।কচুর লতি প্রতিকেজি ৩০ টাকা ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০ টাকা,শসা প্রতি কেজি ৫০ টাকা,ঢেড়স প্রতি কেজি ৫০ টাকা,কাকরোল ৫০ টাকা,পটল ৬০ টাকা,টমেটো ১৬০,ধুন্দল ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা করলা ৮০ টাকা,কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা,লাউ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।