এস,এম,ওয়াহিদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৭নং জগদল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা শিবলী আহমদ বেগ এর বিরুদ্ধে অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিবলী আহমদ বেগ। নিউজ সূত্রে যানা যায়, দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন, বড়নগদীপুর গ্রামের সাবেক বাসিন্দা ও দিরাই পৌরসভার সুজানগরের বর্তমান বাসিন্দা, আছদ্দর মিয়ার ছেলে আক্কাস মিয়া এবং আব্দুল হাসিমের ছেলে ফরিদ মিয়া ওরফে ভুতু মিয়া।
আবেদনকারী তাদের দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শিবলী বেগ, ১৬৫ টি ভিজিএফ কার্ড স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজের আত্মীয় স্বজনদের মধ্য ভূয়া নামে রেখে নিজে উত্তোলন করছেন এবং ৩০ কেজি চাউলের স্থলে ২২-২৩ চাউল দিচ্ছেন এছাড়া নগদ ৫০০ টাকার বদলে ৩০০ করে দিচ্ছেন।
চেয়ারম্যান এর বক্তব্যঃ
জগদল ইউপি চেয়ারম্যান শিবলী আহমদ বেগ আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নোংরা ষড়যন্ত্র আখ্যায়িত করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন আমার ইউনিয়নে ২০৩০ টি ভিজিএফ ও ২৮০ টি বিটিএ কার্ড পেয়েছি তাদের প্রত্যকের কাছে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন আমার বিরুদ্ধে কোনরূপ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবেনা। একজন ও যদি প্রমাণ দিতে পারেন যে ৫০০ টাকার স্থলে এক টাকাও কম দিয়েছি বা ৩০ কেজি চাউলের স্থলে ২২-২৩ কেজি দিয়েছি তা হলে যেকোনো অভিযোগ মাথা পেতে নিবো। আমার সততা ও জনপ্রিয়তায় প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে
অভিযোগকারীরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতের পুতুল হয়ে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায়। বাংলার দর্পণ কে চেয়ারম্যান শিবলী বেগ বলেন সরেজমিন যাচাই বাছাই করে দেখতে পারেন আমি ধার্য তারিখে শুধুমাত্র বিতরণ কার্য আমি উদ্বোধন করি, প্রত্যেক ইউপি সদস্য/সদস্যা মাস্টার রোল মত ধারাবাহিক ক্রমানুসারে কার্ডধারী সুবিধাভোগী জনগণকে চাউল ও টাকা বিতরণ করেন। আমি উপকারভোগীদের কার্ডে হস্তক্ষেপ করা দূরে থাক কোন সদস্যের কাজেই প্রভাব বিস্তার করিনা। আর ১৬৫ ভিজিএফ কার্ড আত্মীয়কে দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে শিবলী বেগ বলেন, আমার নিজ গোত্রে ভোট মাত্র ৪৩ টি তন্মধ্যে ৩২ জনই ইউরোপ সহ উন্নত বিশ্বে প্রবাসী। বাড়িতে যারা আছেন সবাই আর্থিকভাবে সচ্ছল। মহিলা পুরুষ মিলিয়ে আমার আত্মীয় ভোটার যেখানে ১০-১১ জন দেশে আছি, সেখানে ১৬৫ টি কার্ড নিজের আত্মীয়স্বজন কে দেওয়ার মিথ্যে অভিযোগ হাস্যকর। অভিযোগকারী আক্কাছ মিয়া ২০ বছর পূর্বেই আমাদের গ্রাম ছেড়ে দিরাই পৌরসভার বর্তমান সুজা নগর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা, আর ফরিদ ওরফে ভুতু মিয়া সে একজন পেশাদার চুর, একাধিকবার চুরির অভিযোগে আর্থিক জরিমানা সহ বিভিন্ন শাস্তি আমরা দিয়েছি এই প্রকৃতির অভিযোগকারীদের অভিযোগ কেমন হবে তা আপনারাই বুঝে নেন, কোনকোন সাংবাদিক মাঝেমধ্যে আমাদের কাছে টাকা দাবি করছে এবং যে অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর সাংবাদিক ষড়যন্ত্রকারীদের ফাদে পা দিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট করেছে এবং তাদের সহ অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আমি দুইএক দিনের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। সত্য ঘটনা তুলে ধরতে আমি মিডিয়ার সহযোগিতা চাই।