সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের রিংকু রায়ের উপর হামলা ঘটনার নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের রেকর্ড করা ফোনালাপ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ফোনালাপ থেকে সনাক্ত করা হয়েছে সকল আসামীদের আলামত।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় পরিকল্পিত ভাবে মেম্বার সুব্রত, বিকাশ চক্রবর্তী ও জয়ন্ত সেন তাদের লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রিংকু রায়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাকে প্রানে মারার পরিকল্পনা করা হয়। পরে নোয়াহাটির মুসলিম মহিলারা এসে প্রান ভিক্ষা চেয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছ থেকে রিংকু রায়কে উদ্ধার করে। হামলার সময় পেলে যাওয়া উদ্ধারকৃত ফোনালাপে জয়ন্ত সেন ও সুব্রত সরকারের সকল রেকর্ড পাওয়া গেছে। অতীতেও সুব্রত সরকার ছিলেন সিলেটের নামকরা সন্ত্রাসী।
সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অপরাধে সুব্রত অনেকবার জেল কেটেছেন। এরপর সিলেট থেকে চলে আসে নিজ এলাকায়। সেখানে এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তৎপরতা আরো বাড়িয়ে তোলে। গড়ে তোলে ১৫/২০ জন লোক নিয়ে লাটিয়াল বাহিনী। এই বাহিনী দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রেখেছে। আর বিকাশ চক্রবর্তী হচ্ছে পরামর্শদাতা। কাকে কি ভাবে মারতে হবে সেই পরামর্শ প্রদান করে।
এছাড়াও সাংবাদিকতার আড়ালে জয়ন্তসেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পাশাপাশি অবৈধ কর্মকান্ডও করে যাচ্ছে। যা সাধারণ মানুষ প্রানের মায়ায় দেখেও না দেখার ভান করছে। খনার বচন আছে বুক ফাটে তো, মুখ ফাটে না। কেউ এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুললে তারা হামলার শিকার হতে হয়।
আনন্দপুর গ্রামে সুব্রত সরকার, বিকাশ চক্রবর্তী ও জয়ন্ত সেনের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করা হয়েছে। আর এই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য বকুল দাস, দিপু দাস প্রতিনিয়ত কোনো কোনো ঘটনার জন্ম দিচ্ছে এলাকায়। সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ জানালে তাদেরকেও প্রানে মারার হুমকি দেয়া হয়। যার ফলে জীবনের মায়ায় এলাকার মানুষ নীরবতা পালন করে।
তাই এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এলাকার মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা চেয়েছেন। শাল্লা থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, হামলার ঘটনার সাথে সকল আসামীদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আমরা অভিযান চালাচ্ছি কিন্তু কাউকে ধরতে পারছি না। কারন এলাকায় কোনো আসামী নেই। তবে যেখানেই থাকুক না কেন আসামীদের ধরে এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।