চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশ আমার অহংকার, এই স্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জঙ্গী, সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ভৌগলিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশের একটি অতি গুরুত্বপূর্ন স্থান হওয়ায় এখানে অবৈধ অস্ত্র, সন্ত্রাস, মাদক, চোরাচালান, অপহরণ এবং অন্যান্য বিভিন্ন অপরাধ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হচ্ছে। র্যাব-৭ এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে এবং বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গুলি, অপহরনকারী, সন্ত্রাসী, জালটাকার ব্যাবসায়ী, চোরাকারবারী, ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী আটকসহ বিপুল পরিমান ইয়াবা ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ বৎসর ০১ জানুয়ারি ২০১৭ হতে অদ্য ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ইং তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ৩১৯ টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসহ মোট ৪৮ টি ম্যাগাজিন এবং ৩,৪৭৭ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি/কার্তুজ উদ্ধারের পাশাপাশি ৭৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এর পাশাপাশি ৩০ হাজার ৫৫৭ বোতল ফেন্সিডিল, ২,২৫৩ বোতল বিদেশী মদ ও বিয়ার, ০৫ লক্ষ ১২ হাজার ১৭৫ লিটার দেশীয় তৈরী মদ, ৭১৮ কেজি ২৮০ গ্রাম গাঁজা, ৩৬০ গ্রাম হেরোইন এবং ৪০০ গ্রাম আফিম উদ্ধার করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ইং তারিখ কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী তানজিমারঘোনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে ডি ব্লকের নেতা/মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ’কে গুলি করে হত্যা করা হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরধারী অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন বালুখালী পানবাজার এলাকায় ৩/৪ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটানোর উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ইং তারিখ ০২০৫ ঘটিকার সময় মেজর মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্নিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ইউসুফ মাঝি হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী ১। নূর মোহাম্মদ (৩০), পিতা-মৃত সোনা মিয়া, গ্রাম-বালুখালী, সি-৬, থানা- উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার এবং ২। আতাউর রহিম (১৬), পিতা-মৌলভী আতাউল্লাহ, গ্রাম-টেংখালী তাজুমিয়ার খোলা, সি-২২, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজারদের’কে আটক করে। আটককৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে ০২ টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্যে যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক শিবিরের নেতা/মাঝি ইউসুফ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আমর্স এ্যাক্ট, ১৮৭৮ সনের আর্মস এ্যাক্টের (সংশোধনী/০৪) এর ১৯(ভ) ধারা মোতাবেক কক্সবাজার জেলা উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।