নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিরসরাইয়ে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়েছে। স্ত্রীকে খুন করে স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে। নিহতের নাম পারভীন আক্তার (৩৫)। বুধবার সকালে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় গ্রামের জাহাঙ্গির আলম মিঞা বাড়ীতে সকাল ৭টায় এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ আহত অবস্থায় স্বামী বেলাল হোসেনকে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। স্বামী স্ত্রীর মতবিরোধের জেরে এঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
নিহতের ভাই মো. সেলিম জানান, তার বোন পারভীর আক্তারের সাথে প্রায় ২০ বছর আগে উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুইটি সন্তান রয়েছে। ৭ বছর আগে তার প্রথম স্বামী জাহাঙ্গীর আলম হৃদক্রীয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়। পরে পারভীন মামতো ভাই বেলায়েত হোসেন বেলালকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। বেলাল নেশা করে পারভীনের উপর শারিরীক নির্যাতন করতো। ঘটনার দিন সকালে পারভীন ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলতে গেলে বেলাল তার গলা টিপে ধরে ঘরের দরজা বন্ধ করে ধারালো চুরি দিয়ে পারভিনের শরীরের বিভিন্ন অংশে উপর্যপুরি আঘাত করে পাষন্ড স্বামী। এতে তার স্ত্রীর নিহত হলে নিজের গলায়ও চুরি দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজায়।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন জানান, বেলাল হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকাশক্ত। এরআগেও বিভিন্ন সময়ে টাকা-পয়সার জন্য স্ত্রীর উপর নিযার্তন চালাতো। তারই জের ধরে এই হত্যাকন্ড ঘটায়।
জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য-পারভিনের প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর বেলাল কে বিবাহ করে পূর্বের স্বামী জাহাঙ্গিরের বাড়ীতে থাকতো তারা। বেলালের নিজ বাড়ী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে। সেখানেও তার প্রথম স্ত্রী রয়েছে।