সোনাগাজী প্রতিনিধি :ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার উপকূলীয় চরচান্দিয়া ও সদর ইউনিয়নে ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ৫ শতাধিক বসতবাড়ি, মন্দির ও দোকানঘর।
শনিবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাধের দুইটি স্থানে ভেঙে সমুদ্রের লোনা পানি প্রবেশ করেছে পুকুর, মৎস্য খামার ও ফসলি জমিতে। এতে ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, গবাধি পশু ,ফসলি জমি ও পুকুরের মাছের।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিনহাজুর রহমান জানান, শনিবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া দমকা হাওয়া ও ঝড়ে উপজেলার সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন, চর চান্দিয়া ইউনিয়ন ও আমিরাবাদের একাংশে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে সাড়ে ৩৫০টি ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে ২৫০ টির ঘরবাড়ির ।
চর ছান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন জানান, ঘরবাড়ি ছাড়াও চর ছান্দিয়া এবং সদর ইউনিয়নের শতাধিক মৎস্য খামার ও ৫শতাধিক পুকুরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।
উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক সমর দাস জানান, ঝড়ে তপবন অাশ্রম, বাসু মাঝি মন্দির, ক্ষেত্রপাল মন্দির ও গঙ্গা মন্দির সম্পুর্ন ধসে গেছে।
সোনাগাজী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার৫শ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রানের জন্য হাহাকার দেখা গেছে।