রিয়াদ হোসেন, ফেনী থেকে: প্রকাশ- ৩ নভেম্বর ১৬।
ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ ঘেঁসে ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুরের রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন এ রাস্তাটি ৩/৪ বছর আগে সংস্কার হওয়ার পর আবারও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলা যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার হলেও রাস্তার করুণ অবস্থা জনসম্মুখে দৃশ্যমান। কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইট-সুড়কি বেরিয়ে পড়েছে। প্রায় ১০টি পুকুরের পাড় ধসে ক্ষতির সম্মুখীন এই রাস্তা। যান চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। সড়কের দু’পাশে মাঝে-মধ্যে ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্নক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
এই সড়কের পাশেই রয়েছে ৩টি বড় বাজার, ২টি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি -বেসরকারি ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিদিন ইমা, রিকসা, সিএনজি, মাইক্রো ও ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে শ’শ মানুষ চলাচল করে। স্কুল -কলেজগামী শত শত ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।তাছাড়া নুরানী ডাইং এন্ড সুয়েটার গার্মেন্টসের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক চলাচলে বেশি অসুবিধে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও ভাড়া নিচ্ছে অধিক। ফলে লোকশানের সম্মুখীন হচ্ছে ফ্যাক্টরি মালিক পক্ষ। প্রায় ৩’শ শ্রমিকের জীবন নির্বাহ হচ্ছে এই ফ্যাক্টরি থেকে।তাই অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি।এলাকাটি বন্যা দূর্গত হওয়ার এখানে রয়েছে একটি সাইক্লোন সেন্টার। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় দূর্যোগ মুহূর্তে দ্রুততর সময়ের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ নিয়ে থেকে যাচ্ছে অনিশ্চয়তা।
শর্শাদি ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞাঁ জানান, রাস্তাটির ব্যাপারে অতি শীঘ্রই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির কাজ তাড়াতাড়ি সম্পূর্ন করতে পারলে নিজেকে গর্বিত মনে করবো।