নাঙ্গলকোটে হোমিও ডাক্তার ফখরুন নাহার রৌশনের বিরুদ্ধে পরকিয়ার অভিযোগ


লাঙ্গলকোট সংবাদদাতাঃ 
নাঙ্গলকোটে হোমিও ডাক্তার ফখরুন নাহার রৌশনের বিরুদ্বে পরকিয়ার অভিযোগ উঠেছে। , ফখরুন নাহার রৌশন বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। কখনো সে হোমিও ডাক্তার আবার কখনো হোমিও কলেজের শিক্ষিকা। সে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মাওলানা মুকবুল আহাম্মদের বড় মেয়ে। প্রায় ১০ বছর আগে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক এনায়েত উল্যাহ নামের এক যবকের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। এনায়েতের বাড়ি পাশ্ববর্তী জোড্ডা ইউনিয়নের দুইয়ারা গ্রামে। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী এনায়েত উল্যাহ বিদেশ চলে যায়। রৌসনের কোলজুড়ে আসা প্রথম সন্তান জন্মের কয়েক মাস পর মারা যায়। বহুরুপী সেই রৌসনের পরকীয়ার শিকার হয়ে সর্বশাস্ত হয়েছে অসংখ্য যুবক।
তার পরকীয়া থেকে বাদ যায়নি হিন্দু যুবকও। যুবকদের সাথে অশ্লীল কাজের বিভিন্ন ভিডিও, ছবি ও কল রেকর্ড থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রৌসন নাঙ্গলকোটের বাদশা আমেনা হোমিও কলেজের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে শুরু হয় রৌসনের পরকীয়া প্রেম। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার অযুহাতে রৌসন স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসে। তবুও বন্ধ হয়নি তার পরকীয়া প্রেম। তার প্রেমে বাদ পড়েনি হিন্দু যুবকও। সেখানে প্রেম করা যুবকদের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তুলে। এমনই এক যুবক তার প্রতারণার শিকার হয়ে রৌসনের মোবাইলে তোলা অশ্লীল সব ছবি ও একাধিক যুবকের সাথে কথা বলার রেকর্ডসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট সাংবাদিকদের নিকট দেয়। অভিযোগে আরও জানা গেছে, রৌসন তার গ্রামের সাব্বির আহমেদ নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিভিন্ন পার্কে গিয়ে তার সাথে অন্তরঙ্গ ছবি তুলে। এছাড়াও ইমুতে কল করে উঠতি বয়সের যুবকদের তার পোশাক বিহীন ছবি দেখিয়ে পাগল করে তুলে। তার প্রেমের লীলা খেলায় নষ্ট হ”েছ গ্রামের যুবকরা। এছাড়া কুমিল্লার একটি হোমিও কলেজে লেখাপড়ার সুযোগে সে সপ্তাহে কয়েকবার কুমিল্লায় থাকে। অভিযোগ উঠেছে, সেখানেও এ নিয়ে জানাজানি হলেও রৌসন সংশোধন হয়নি। উল্টো ভিডিও, ছবি ও কলরেকর্ড কিভাবে সাংবাদিকদের হাতে পৌছলে সেটা নিয়ে একেক বার একেক জনকে সন্দেহ করছে। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রৌসনের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল করলে তিনি বলেন, এসব ছবি আমার স্বামী ও আত্বীয় স্বজনদের সাথে তোলা, সাব্বির আহমেদের কথা বললে কিছু না বলে ফোন কেটে দেয়, পরে একাধীকবার কল দিলেও সে রিসিভ করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *