ফেনী প্রতিনিধি- ৫সেপ্টেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বালিগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল অাবদীন মেম্বার ফেনী থেকে ফেরার পথে ওই ইউনিয়নের মধুয়াই বড়পোল নামক স্থানে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার সিএনজি গতিরোধ করে গুলি ও কুপিয়ে গুরতর আহত করে ।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রাত ৯ টায় মৃত ঘোষনা করে। তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী অনেকটা নীরবে পার হয়েছে, দুর্দিনের এক ত্যাগী কর্মীকে স্মরন করেনি ক্ষমতায় থাকা অা’লীগ বা কোন সহযোগি সংগঠন। হত্যার পর
জয়নাল মেম্বারের পিতা হাফেজ আহম্মদ গণমাধ্যমকে জানান ,জয়নাল মেম্বার ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাহারের একনিষ্ঠ কর্মী ছিল বিদায় ইউপি নির্বাচনে তার পক্ষে জোরালো ভুমিকা রেখেছিল। ফলে বাহারের প্রতিপক্ষরা তার ছেলেকে খুন করেছে। পরে বাহার প্রতিপক্ষের সাথে অাতাত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ভুলে গেছেন জয়নাল মেম্বারকে।
খুনের ঘটনার ৪দিন পর নিহতের পিতা হাফেজ আহম্মদ বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা কামাল উদ্দিন মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন মেম্বার, তাজুল ইসলাম মালন্সাব, ফখর উদ্দিন, আব্দুল হাই লিটন, সুমন, ফরহাদ, মেহেদি হাসান, আজিম উদ্দিন, আবু সায়েদ, জসিম উদ্দিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।এতে ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। স্থানীয়রা জানান, প্রাথমিকভাবে রক্ষা পেয়েছে হত্যাকান্ডের মুল মাস্টার মাইন্ড।
এ ব্যাপারে নিহত জয়নাল মেম্বারের ছোট ভাই অামির হোসেন জানান, চতুর্মূখি হুমকির কারনে তাদের দুজনকে অাপাতত মামলায় জড়ানো হয়নি। তবে পুলিশকে তাদের ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, প্রধান অাসামী সহ কয়েকজন কারাভোগের পর জামিনে অাছে।
জানা যায়, চাঞ্চল্যকর জয়নাল মেম্বার খুনেল মামলা সিআইডি তদন্ত করছে । স্থানীয় নেতা কর্মীদের অাশা, সিআইডির তদন্তে খুনের মুল মাস্টার মাইন্ড এর নাম বেরিয়ে অাসবে এবং সেও অাইনের অাওতায় অাসবে।