খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মাটিরাঙ্গার বাইল্যাছড়ির সাইনবোর্ড এলাকায় স্বামীর সামনে স্ত্রী অপহরণ ঘটেছে।
এক সন্তানের জননী উপজাতী স্ত্রীকে স্বামীর সামনেই বাস থেকে নামিয়ে তুলে নিয়ে গেছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা।সে ভালবেসে বাঙ্গালী ছেলেকে বিয়ে করে ৫ বছর যাবত ঘর সংসার করছিল।
পাঁচ বছর আগে (০১/১১/২০১২ইং) পানছড়ির লোগাং বাজার পাড়ার মনতাজ মিয়ার ছেলে মো. নাজমুল হোসেন ভালোবেসে বিয়ে করে বজেন্দ্র মাষ্টার পাড়ার ফলেন্দ্র ত্রিপুরার মেয়ে নয়না ত্রিপুরাকে। বিয়ের পুর্বেই স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নয়না ত্রিপুরা ফাতেমা বেগম নাম ধারন করে তারা পরস্পর বসবাস করে আসছে। বিয়ের এক বছরের মধ্যই তাদের কোল জুড়ে আসে এক পুত্র সন্তান।
গত ০৮/০৯/২০১৭ শুক্রবার ঈদের ছুটি শেষে স্ত্রীসহ বাসযোগে চট্টগ্রামে কর্মস্থলে যাবার পথে মাটিরাঙ্গার বাইল্যাছড়ি সাইনবোর্ড এলাকায় আসলে পাহাড়ের আঞ্চলিক স্বশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ‘র ১০/১২জন নারী কর্মী এবং ৩/৪জন পুরুষ কর্মী বাসের গতিরোধ করে।এরপর তারা চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহী বাসে (বিছমিল্লাহ পরিবহন) স্বামীর পাশে বসা স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায়।
এসময় স্বামী মো. নাজমুল হোসেন বাঁধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে উল্টো হুমকি প্রদান করে বলে জানায় মো. নাজমুল হোসেন। তবে এসময় বাসের অন্য যাত্রীরা তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি বলেও জানায় সে।
ঘটনার পরপরই স্বামী মো. নাজমুল হোসেন প্রথমে গুইমারা থানায় ও পরে মাটিরাঙ্গা সেনা জোনকে স্ত্রী অপহরনের বিষয়টি জানালে বেলা ২টা থেকে মাটিরাঙ্গা জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার মেজর ইমরুল কায়েস মেহেদী‘র নেতৃত্বে নিরাপত্তাবাহিনী ও গুইমারা থানা পুলিশ অপহৃত নারীকে উদ্ধারে সাইনবোর্ড, রাবারবাগানসহ আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক তল্লাশী চালায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃতকে উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে বলে নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা যাত্রীবাহি বাস থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে স্বামীর সামনে থেকে স্ত্রীকে অপহরনের ঘটনাকে পাহাড়ে স্বশস্ত্র সংগঠনগুলোর দৌড়াত্মের নতুন মাত্রা হিসেবেই দেখছেন।