এইচ এম সাইফুল্লাহ্, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন শ্রমিকদের সাথে রাস্তা নির্মানে মাটি কাটায় অংশ নিয়ে স্থাপন করলেন এক অন্যান্য দৃষ্টান্ত। শনিবার (১০জুন) জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়ন এবং শেরপুর ইউনিয়নের মধ্য দূরত্ব কমানোর জন্য একটি সংযোগ সড়ক নির্মানের পরিকল্পনা করেন সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন মহোদয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বরিল্যা ইসমাইল মুন্সীর বাড়ি সংলগ্ন গড়াইল খালের একটি সেতু নির্মান কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে উক্ত সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।
কিন্তু সেতুটি নির্মান অর্থহীন হয়ে যেত যদি উক্ত রাস্তাটি নির্মান না হত।। তাই কর্মসৃজন কর্মসূচির মাধ্যমে উক্ত রাস্তাটির নির্মান কাজ শুরু করেন সাংসদ তুহিন মহোদয়। উক্ত রাস্তাটি নির্মিত হলে ১০ নং শেরপুর ইউনিয়নের চকপাড়া,রাজাবাড়িয়া এবং টিক্কারচর গ্রামের মানুষ খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। চকপাড়া গ্রামের তিনদিকেই নদী ও একদিকে গড়াইল খাল রয়েছে। ফলে চকপাড়া গ্রামের মানুষের কস্টের সীমা ছিল না। পাশাপাশি বরিল্যা গ্রামের কৃষি জমি গড়াইল খালের ওপারে থাকায় আউশ ধান কেটে খালে সাতার কেটে পাড়ি দিতে হত।
সকলের দুঃখই ঘোচাতে গড়াইল খালের ওপর সেতু এবং বরিল্যা বাজার হতে ইসমাইল মুন্সির বাড়ি ভায়া গড়াইল খালের ওপর নির্মানাধীন সেতু হয়ে চকপাড়া গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মিত হবে।।
উক্ত রাস্তা এবং সেতু নির্মানের ফলে দুটো ইউনিয়নের চারটি গ্রামের পাঁচ হাজার মানুষ উপকৃত হবে।।
এজন্যই সাংসদ তুহিন মহোদয় নিজেই উদ্যোগ নিলেন দলীয় নেতা -কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রমিকদের সাথে মাটি কেটে রাস্তাটি নির্মানের।। এতে শ্রমিকরা উৎসাহিত হয়ে মাটি কাটে।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন মন্ডল বলেন,”সংসদ সদস্য যখন শ্রমিক সেজে মাটি কাটতে শুরু করে,আমরা তখন বসে থাকতে পারি না,, আমরাও সহযোগিতা করেছি।
সাংসদ তুহিন মহোদয় বলেন, চারটি গ্রামের মানুষের অবর্ণনীয় কস্ট আমি বাল্যকাল থেকেই দেখে আসছি,আমার প্রতিবেশী গ্রামের কস্ট আর সহ্য হচ্ছিল না,তাই নিজেই মাটি কেটে রাস্তাটি নির্মান করার উদ্যোগ নিলাম। ইউপি চেয়ারম্যান সহ দলীয় নেতা কর্মীদের সহযোগিতায় রাস্তাটি নির্মান শেষ করতে চাই।