মোহাম্মদ অালাউদ্দিন :
কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মাের্শেদে আজম আওলাদ রাসূল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মােদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, মাহে রমজান মাসব্যাপী সিয়াম সাধনায় রোজাদারের মধ্যে সত্যকে গ্রহণ ও মিথ্যাকে বর্জনের অভ্যাস গড়ে ওঠে। রমজানের পর বছরের বাকী এগারো মাসেও এ সুন্দর অভ্যাস নিবেদিত হতে গাউছুল আজম (রাঃ)’র প্রতিষ্ঠিত কাগতিয়া দরবারে রয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী নানান আধ্যাত্মিক কর্মসূচী, নূর মুহাম্মদীর রওশন ক্বলবকে জ্যােতিময় করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য নিরুপন সক্ষমতা অর্জনের সুবর্ণ সুযােগ।
তিনি ২ জুন শুক্রবার ইফতার মাহফিল উপস্থিত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
তিনি আরও বলেন, রমজান মুসলমানদেরকে বেশি বেশি দান-সদকা, যাকাত-ফিতরা, অভাবী প্রতিবেশিদের সাহায্য ও সারারাত ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে একা অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাের্ড সদস্য মােহাম্মদ জসীম উদ্দীন শাহের সভাপতিত্বে মদুনাঘাট রিলেশান পার্ক কমিউনিটি সেন্টার অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলের আয়ােজন করে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ রাউজান-রাঙ্গুনিয়া-হাটহাজারী (দক্ষিণ) সমন্বয় পরিষদ।
সভাপতির বক্তব্য জসীম উদ্দীন শাহ্ বলেন, রোজা রোজাদারের অন্তরে তাকওয়া পয়দা করে। সকল অসুন্দর ও অকল্যাণ থেকে সুন্দর এবং কল্যাণের দিকে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ এনে দেয়। আর এ কাজটি সর্বত্র বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে কাগতিয়ার গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হু’র প্রতিষ্ঠিত মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ।
মাহফিল বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর এপিএস মােহাম্মদ নূর খান। উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ বদিউল আলম আহমদী, আলহাজ্ব মাওলানা আহমদ করিম, আলহাজ্ব মাওলানা আবু মােহাম্মদ আযমী, মাওলানা মুহাম্মদ সেকান্দর আলী, মাওলানা জসীম উদ্দীন নূরী।
বক্তব্য রাখেন কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ আশকুর রহমান, মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ওলামা পরিষদের সহ-এশায়াত সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ রশিদী, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম, মাওলানা মুহাম্মদ বশির উদ্দীন প্রমুখ।
মাহফিল এলাকার অনেক গন্যমান্য ব্যক্তি, আলম, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ি ছাড়াও সর্বস্তরের হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং গাউছুল আজম (রাঃ)’র ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।