মুছাপুর রেগুলেটরে খননকৃত  ডাইভারশন চ্যানেল ইজারা দেয়ার অভিযোগ

প্রশান্ত সুভাষ চন্দ :

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ২৩ ভেল্ট রেগুলেটরে খননকৃত ডাইভারশন চ্যানেল ইজারা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের তীর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরীর দিকে ।

 

সূত্রে জানা যায়, পানি নিষ্কাষনের জন্য এবং উপকূলীয় আবাদী জমি গুলোকে ছোট ফেনীর নদীর নোনা পানি থেকে রক্ষা করতে মুছাপুরে একটি রেগুলেটর নির্মান করা হয় এবং মুছাপুরের ভাঙ্গন রোধ করতে ছোট ফেনীর নদীর উপর একটি ক্লোজার নির্মান করা হয়। ২০১৬ সালের জুন মাসে এ ক্লোজারের নির্মান কাজ শেষ হয়। ক্লোজার নির্মান শেষে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ডাইভারশন চ্যানেল খনন করা হয়। এটি একটি প্রবাহমান চ্যানেল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এ ধরনের সরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ইউনিয়ন পরিষদ বা অন্যকোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইজারা দেয়ার কোন বিধান নাই। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডাইভারশন চ্যানেলটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাছুম খান মাখন, যুবলীগকর্মী কামরুজ্জমান নিটল ও একটি ধর্ষণ মামলার এজাহার ভূক্ত আসামী ছায়েদল হক ছাদুকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ইজারা দিয়ে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছেন।

 

এ ধরনের অভিযোগে ভিত্তিতে গত ৬ এপ্রিল ২০১৭ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ২৩ ভেল্ট রেগুলেটরে খননকৃত ডাইভারশন চ্যানেলে ইজারা প্রদান না করার জন্য অনুরোধ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ডাইভারশন চ্যানেল ইজারা দিলে তার যথেচ্ছ ব্যবহারের কারনে রেগুলেটর ও ক্লোজারের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। সেখানে কোন ধরনের জাল পাতাও যাবেনা বলে উল্লেখ করা হয়।

 

চিঠির আলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ১১ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন।

 

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাছুম খান মাখনের সাথে আলাপ করা হলে তিনি ইজারা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ইজারা সম্পর্কে কিছুই জানিনা। ইজারার সাথে আমি সম্পৃক্তও নই।

 

বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ডাইভারশন চ্যানেল কখনো ইজারা দেয়া হয়নি। তবে কয়েকজন জেলে রেগুলেটর সংলগ্ন খালে জাল ফেলতো। এ কথা শুনার পর আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীসহ স্থানীয়দের উপস্থিতিতে রেগুলেটরের আশপাশে জাল ফেলতে নিষেধ করে দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *