চট্টগ্রাম :
পুরো বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে খাদ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে অতিদরিদ্র ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শিশু ও নারীরা ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। এ বছর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-ঋঅঙ এর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২১’ উদ্যাপনের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে “আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ। ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশই উন্নত জীবন” নির্ধারণ করা হয়েছে। এসডিজির ২ নং লক্ষ্য ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার বিষয়কে অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের হার কমেছে।
১৬ অক্টোবর ২০২১ইং বিশ্ব খাদ্য দিবস উদাযপন উপলক্ষে নগরীর চান্দগাঁওস্থ আইএসডিই বাংলাদেশ মিলনায়তনে ক্যাব যুব গ্রুপ ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের আয়োজনে আলোচনা সভায় উপরোক্ত দাবি জানানো হয়।
ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি বিশিষ্ঠ কৃষক নেতা আতিকুর রহমান চৌধুরী। ক্যাব সংগঠক ও প্রজন্ম চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী চৌধুরী জসিমুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশনেন ক্যাব দক্ষিন জেলা সাধারণ সম্পাদক ও স্বাউটস জেলা সহ-সভাপতি অধ্যাপক শাহনেওয়াজ আলী মির্জা, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ মুহাম্মদ জানে আলম প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন সরকার ও বিভিন্ন জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থার নানা উদ্যোগের কারনে দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হলেও করোনার পর খাদ্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির কারনে সীমিত আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে। অন্যদিকে সরকার হতদরিদ্রের জন্য বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টণীর অনেকগুলি যুগান্তারী উদ্যোগ নিলেও মাঠ পর্যায়ে যথাযথ তদারকির অভাবে এসমস্ত কর্মসুচিগুলি কাঙ্খিত লক্ষ্য পুরণে সমর্থ হচ্ছে না।
বাংলাদেশের সংবিধানে সবার জন্য খাদ্য অধিকারের কথা বলা হলেও এ পর্যন্ত খাদ্য অধিকার আইন প্রণীত হয়নি। খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনে দেশী-বিদেশী করপোরেট ও বহুজাতিক কোম্পানি গুলির ক্রমাগত আধিপত্য বিস্তারের কারনে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। আর সে কারনে বিগত বিশ বছরে দেশে খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও অনেক বেশি।