বাংলার দর্পন ডটকম :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিয়েনা সফরে ফ্লাইটে খাবার সরবরাহে অবহেলা ও দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের (বিএফসিসি) । গত সোমবার ঢাকা থেকে ভিয়েনাগামী প্রধানমন্ত্রীর ওই ফ্লাইটে অননুমোদিত (সিকিউরিটি ট্যাগ ব্যতীত) খাবার ওঠানোর পর এসএসএফ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন নিরাপত্তা বিভাগের সিলগালাহীন খাবার কিভাবে ফ্লাইটে পাঠানো হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে বিমানের ডিজিএম রেজাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, প্রকৃত ঘটনা তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না। ওই ফ্লাইটে খাবার তালিকায় কী ছিল আর কী দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কার কতটুকু দায় সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এটা খুবই স্পর্শকাতর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনের সফরে ভিয়েনা রওনা হন বিমানের বোয়িং-৭৭৭-এর একটি ফ্লাইটে। এতে শতাধিক অতিথি ছিলেন।
ভিভিআইপি ফ্লাইটের খাবার ওঠানোর জন্য এসএসএফের একটি টিমের উপস্থিতিতে রবিবার রাত ৩টায় বিএফসিসিতে প্রধানমন্ত্রীর জন্য পূর্বনির্ধারিত মেন্যু অনুযায়ী খাবার ক্রমতালিকা অনুসারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একটি কক্ষ সিলগালা করা হয়। গতকাল সকালে বিএফসিসির একটি কার্টে (বক্স) করে ওই খাবার পাঠানো হয় ফ্লাইটে। তখন এসএসএফ দেখতে পায়, সিকিউরিটি ট্যাগ ছাড়া দুই ফ্লাস্ক স্যুপ প্রধানমন্ত্রীর জন্য দেওয়া হয়েছে। এসএসএফ এতে বিস্ময় প্রকাশ করে তাৎক্ষণিত তা ফেরত দেয়। খাবার মেন্যুতে চিকেন ও ভেজিটেবল স্যুপ ছিল। সেভাবে স্যুপ ভর্তি দুটো ফ্লাস্ক সেখানে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ফ্লাস্ক দুটো তালিকা অনুসারে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে কার্টে না রেখে বাইরে ফেলে রাখেন। সকালে খাবার ওঠানোর ফ্লাস্ক দুটিতে সিকিউরিটি ট্যাগ না লাগিয়ে তাড়াহুড়া করে দুটো পলিথিনে ভরে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ফ্লাইটে।
অপারেশন শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে ফ্লাস্ক দুটি প্রধানমন্ত্রীর জন্য সংরক্ষিত কক্ষে না রেখে বাইরে ফেলে রাখা হয়। আর গতকাল সকালে বাইরে ফেলে রাখা অবস্থায় দুটো ফ্লাস্ক তাড়াহুড়া করে পলিথিনে ভরে মুখ বেঁধে পাঠানো হয় ফ্লাইটে।