ফেনীতে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন প্রকল্প পরিচালক

সৈয়দ মনির অাহমদ>>>>

সোনাগাজীর পুর্ব বড়ধলীতে প্রস্তাবিত সৌর ও বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের পরিদর্শন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির।
সোমবার বিকালে পরিদর্শন কালে অারো উপস্থিত ছিলেন সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জেড. এম কামরুল অানাম, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান, পৌর মেয়র এড. রফিকুল ইসলাম , বিশ্ব ব্যাংক প্রতিনিধি সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে পরিদর্শক দল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন।

উল্লেখ্য. এক হাজার একর এলাকাজুড়ে ফেনীর সোনাগাজীতে নির্মিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প । প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে এখান থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে প্রাথমিকভাবে জমি অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য ১০২ কোটি ৯২ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, সোনাগাজীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল এলাকায় প্রস্তাবিত এ প্রকল্প বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করবে। ফেনীর মহুরী নদীর তীরে ও সোনাগাজীতেই ২০০৫ সালে দেশের প্রথম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু হয়। এলাকার লামছি মৌজায় ছয় একর জমির উপর স্থাপিত কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা এক মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় জানা যায় , সোনাগাজী এলাকায় সাগরের দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হয় আর সূর্যের রশ্মির তীব্রতা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে কিছুটা বেশি। তাই বাৎসরিক সৌরশক্তির পরিমাণও দেশের গড় সৌরশক্তির চেয়ে তুলনামূলক বেশি। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক পর্যায় সোনাগাজীতে এ সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎসহ মোট ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। যা যা জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম হাইব্রিড প্রকল্প। প্রকল্প এলাকায় প্রথম পর্যায়ে এক হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম নেয়া হলেও পর্যায়ক্রমে এর পরিসর ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়ানো হতে পারে। এ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পটি সম্পূর্ণই পরিবেশবান্ধব। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে দিনদিন শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠায় প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ সমস্যাটি দেশের প্রধান সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এ বিশাল বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়ন হলে আমদানি করা জ্বালানির ওপর ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমে আসবে ও বিদ্যুৎ উৎপাদন সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *