উশৃঙ্খল স্ত্রী  পপির প্রতারনায় সর্বশান্ত ইলিয়াছ 

 

 

ফেনী প্রতিনিধি : উম্মে হাবিবা পপি’র প্রতারনা ও কুটকৌশলের কাছে হেরে গেলেন স্বামী ইলিয়াছ । জানাগেছে, ২০০৮ সালে ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার নোয়াপুর গ্রামের আব্দুল মাবুদে’র মেয়ে পপির সাথে কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কেচকিমড়া গ্রামের মৃত হাজী সফিকুর রহমান’র ছেলে মো: ইলিয়াছ’র সঙ্গে পাঁচ লক্ষ  টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের কোল জুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান। বর্তমানে তার বয়স ৭ বছর কিন্তু সরল বিশ্বাসে ইলিয়াছ প্রতারক পপি’কে রেখে বিদেশ চলে যাওয়ার পর পপি’র লুকানো চেহারা প্রকাশ পেতে শুরু করে । অন্য ছেলেদের সাথে পরকিয়া প্রেম ও অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারে শ^শুর বাড়ীর লোকজন। কিন্তু ইলিয়াছ পপি’র ছলনামীয় রুপে তখন ও পপির উপর বিশ^াস স্থির রাখে। যার সুযোগে  তার  পিতা-মাতার প্রশ্রয়ে ও  সহযোগীতায় স্বামীর সাথে প্রতারনা করে বিভিন্ন ছলেবলে কৌশলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে  স্বামী ইলিয়াছ পপি’র উশৃঙ্খল জীবন যাপনের কথা আঁচ করতে পেরে শ^শুর আব্দুল মাবুদকে জানালে তিনি সব ঠিক হয়ে যাবে এবং আমি এর দায়িত্বে আছি । পপিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার সকল দায়িত্ব আমার বলে তিনি জামাই ইলিয়াছকে আশ^স্ত করেন কিন্তু যত সময় যায় পপি’র উশৃঙ্খলতা তত বাড়তে থাকে । ঘটনার ধারাবাহিকতা গত ৮ মার্চ ২০১৭ তারিখে পপি তার নিজ গ্রামের মো: রাশেদ নামের এক যুবকের হাত ধরে নগদ টাকা,ব্যাংক গচ্ছিত টাকা, পপির পিতার কাছে ইলিয়াছের গচ্ছিত টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৪৫ লক্ষ টকার সম্পদ নিয়ে পলিয়ে যায়। সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মাবুদ নিজেকে ও মেয়েকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য ৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে ফেনী মডেল থানায় নিঁেখাজ সংবাদের ডায়েরী করেন। তার প্রতিকারে স্বামী ইলিয়াছের ভাই মো: ইব্রাহীম ফেনী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে থানার তদন্ত অফিসার বাবুল আজাদ পপি’র পিতা আব্দুল মাবুদকে জিজ্ঞাসা করলে ওইদিনই সন্ধ্যায় মেয়ে পপিকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হন। এতে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, পপি তার পিতা আব্দুল মাবুদসহ তার পরিবারের লোকজনের যোগসাজসে ইলিয়াছের নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।

উক্ত ঘটনার  প্রেক্ষিতে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদ খাঁন চৌধুরী উভয় পক্ষকে সময় দিয়ে দুই পক্ষের দুই জন করে  মনোনীত লোক নিয়ে, লুটকৃত সম্পদের পরিমান ও প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে রিপোর্ট আকারে জমা দেওয়ার  জন্য চার দিন সময় দেন। কিন্তু পপি’র পক্ষের মনোনীত লোক ওসি’র নির্দেশনা মোতাবেক তদন্তে অংশগ্রহন করেনি তবে নির্ধারিত সময় শেষে ২য় বৈঠকে মেয়ে পক্ষ কিছু রাজনৈতিক লোক নিয়ে থানায়  বৈঠকে বসেন কিন্তু যথাযথ রিপোর্ট না পাওয়ায় কোন সমঝোতা ছাড়া বৈঠকটি শেষ হয়।

স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা উক্ত ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে বলে ইলিয়াছের বড় ভাই ইব্রাহীম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে। উভয় পক্ষের মনোনীত ব্যক্তিদ্বয়ের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে পরবর্তিতে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয় কিন্তু অধ্যবদি মেয়ে পক্ষ ও তাদের মনোনীত লোকজনের  কেউই তদন্ত করার জন্য বা ঘটনার যথাযথ ব্যাখ্যার জন্য আসেনি । ইলিয়াছের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তারা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে না এসে বরং ছেলে পক্ষকে উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছে । এ বিষয়ে  ইলিয়াছ ও তার পরিবার  প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *